গত আড়াই বছর ধরে ফ্ল্যাট থেকে বের হতে দেখা যায়নি শিলা সেলোয়ান নামের বৃদ্ধাকে। বরাবর হাসিখুশি এবং মিশুকে স্বভাবের মানুষ ছিলেন তিনি। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পূর্ব লন্ডনের পেক হামের আবাসন থেকে ৫৮ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধার পচা গলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আবাসন কতৃপক্ষকে বারবার ওই বৃদ্ধার খোঁজ করবার কথা বলা হলেও তারা গা করেনি বলে অভিযোগ অন্যান্যদের।
তদন্তে জানা গিয়েছে ২০২০ সাল থেকে শিলার নিখোঁজ হওয়ার কথা লাগাতার আবাসন কর্তৃপক্ষকে বলে আসছিলেন আশপাশের মানুষজন। এমনকি গত দুই বছর ধরে কোন গ্যাসের সংযোগ নেননি শিলা। তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করবার চেষ্টা করেনি তারা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাধ্য হয়ে শিলার প্রতিবেশীরা ফোন করেন পুলিশকে।
এরপর ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঐ বৃদ্ধাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন তারা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন নীল পায়জামা এবং সাদা টপ পরিহিতা ঐ বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার হয়েছিল ফ্ল্যাটের সোফায়। দেহ এতটাই বিকৃত হয়ে যায় যে দাঁত দেখে সনাক্ত করতে হয়, ওই মহিলাকে। মেডিক্যাল সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করতেন ওই বৃদ্ধা।
২০১৯ সালের আগস্টের শেষবার তাকে দেখা যায়। কিন্তু কিভাবে মৃ’ত্যু হল তার? তাকে কি খু’ন করা হয়। জানা যায় বেশ অসুস্থ ছিলেন তিনি। পরিপাকতন্ত্রের কিছু গন্ডগোল ছিল তার। তবে এমন অস্বাভাবিক মৃ’ত্যু সাড়া ফেলে দিয়েছে। ২০২০ সালের অক্টোবরে দুইবার তার ফ্ল্যাটে গেলেও শিলার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পুলিশ আধিকারিকরা।
তবে তারা খবর পেয়েছিলেন খুব ভালোভাবে রয়েছেন ওই বৃদ্ধা। গোটা ঘটনায় মেট্রোপলিটন পুলিশের গাফিলতির উপরেই দায় চাপিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ফেব্রুয়ারিতেই শিলার দেহ উদ্ধার করে মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিটেকটিভ সার্জেন্ট স্কট ফিচার।
সাজানো গোছানো ফ্ল্যাটের মধ্যে একটা মৃতদেহ। যা দেখি হক চকিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। লন্ডনের মতন মেট্রোপলিটন শহরে একজন পূর্নবয়স্ক বৃদ্ধার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বছরের পর বছর। অথচ ভ্রুক্ষেপ নেই আবাসন কর্তৃপক্ষ থেকে পুলিশের।