করোনাকালে লকডাউন হওয়ার ফলে একদিকে যেমন মানুষের জীবন কর্মহীন হয়ে পড়েছে,তেমনি অনেক সময় পেয়েছে অনেক কিছু বোঝার এবং দেখার। এই সময় অনেক মানুষই নিজেদের ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের জন্য কিছু টাকা সঞ্চয় করে রাখার জন্য অনেক বীমা সম্পর্কে আগ্রহী হয়েছেন। করোনা প্রবাহের মধ্যে এই সাধারন মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে দুটি প্রকল্প আনা হয়েছিল এবং সেই প্রকল্প এবং সর্ব সাধারণের মধ্যে এনেছেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আনা দুটি প্রকল্পের কথা স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া একটি টুইট করে সকলকে জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দুটি বীমা একটি “জীবন জ্যোতি বীমা” যোজনা এবং আরেকটি “প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা” যোজনা এই প্রকল্পের সুবিধা চাইলে জনসাধারণ নিতে পারবে। অল্প টাকা দিয়েই এই দুটি জীবন বীমা সহজেই করতে পারবে সাধারণ মানুষ।
তবে বীমা করার ক্ষেত্রে একটি শর্ত রয়েছে এবং সেটি হল যে এই বীমা মে করবে তাকে অবশ্যই স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গ্রাহক হতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ২০১৫ সালেই দুটি প্রকল্প এনেছিলেন জনসাধারণের স্বার্থে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সের সবাই প্রধানমন্ত্রীর এই দুটি যোজনার মধ্যে আসতে পারবেন। প্রত্যেক বছর গ্ৰাহকদের ৩৩০ টাকা করে জমা দিতে হবে, যদি গোটা জীবন কালে কোন এক সময়ে এসে গ্রাহক বিপদে পড়েন তবে সেই ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনা।
অন্যদিকে “প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা” যোজনা জন্য বীমাকারীকে দিতে হবে ১২ টাকা করে প্রত্যেক বছর। এই ক্ষেত্রে যদি কখনো বীমাকারির মৃত্যু হয় তবে দু লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে এবং আংশিক যদি প্রতিবন্ধকতা হয় তবে সে পাবে ১ লক্ষ টাকা। এই দুটি প্রকল্প মিশিয়ে প্রত্যেক গ্রাহককে বছরে ৩৪২ টাকা জমা করতে হবে,তবেই বিপদে পাওয়া যাবে মোটা অংকের বড় টাকা।
তবে সম্প্রতি কিছু নবীকরণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনায এখন ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সের গ্রাহকরা এবং প্রধানমন্ত্রী “জীবন জ্যোতি বীমা” যোজনা ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সের গ্ৰাহকরা এই বীমা করার সুযোগ পাবে। যদি আপনি এই বীমার সুবিধা নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার সেভিংস একাউন্ট থেকে অটো ডেভিড পদ্ধতিতে এই টাকা প্রত্যেক মাসে ব্যাংক কেটে নেবে।