একে রামে রক্ষা নেই তার ওপর আবার সুগ্রীব দোসর। বর্তমানে মানুষের একটা বিয়ে করে হাল খারাপ হয়ে যায় তার ওপর আবার নাকি দু-দুটো বিয়ে তবে এক্ষেত্রে কিন্তু কোন পুরুষ দুটো বিয়ে করেনি এ ক্ষেত্রে করেছে এক মহিলা, তাও আবার এক দিনে। ঘটনাটি পাঞ্জাবের ফিরোজপুরের।
ফিরোজপুরের পুলিশ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানা গেছে যে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ভুয়ো পরিচয় পত্র দিয়ে এই ধরনের কাজ করতেন টাকা-পয়সা হাতানোর জন্য। এই বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন হরিয়ানার ফতেহাবাদের বাসিন্দা দর্শনা দেবী। তার ছেলের বিয়ে ঠিক হয়েছিল, ছেলের নাম রবি কুমার, বয়স ২৮। ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য ওম প্রকাশ এবং জসবিন্দর সিংহ গ্রামের দুই ব্যক্তির সহায়তায় এক কনের সন্ধান পান তারা।
এরপরে কনে খুঁজে দেওয়ার জন্য ওই দুই ব্যক্তি কে দেওয়া হয় ৩১ হাজার টাকা। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিয়েও হয় কিন্তু পাত্রপক্ষ যখন কনেপক্ষের বাড়ির লোকের পরিচয় পত্র চায় তখন কনেপক্ষের বাড়ি থেকে দেওয়া হয় মিত অরোরা এবং তারা অরোরা নামের দুটি পরিচয় পত্র এবং এই পরিচয় পত্রটি যখন পুরোহিত দেখেন তখনই পুরোহিত জানান যে গতকাল এই মহিলার বিয়ে দিয়েছেন।
আরো পড়ুন: লোনের উপর সুদের বা’ড়’তি প্র’কো’প! এই ব্যাংকের EMI জেনে নিন
তাতে বরপক্ষের মাথার টনক নড়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন পাত্রপক্ষ। এরপরে গোটা বিষয়টি সামনে আসে এবং গ্রেফতার করা হয় বিনা শর্মা, জসবিন্দর সিংহ, দীপ, নেহা, তারা অরোরা এবং মিত অরোরা নামের ৭ জনকে। আপাতত তাদের রাখা হয়েছে পুলিশ হেফাজতে এই সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৪২০,৪৬৫,৪৬৮,৪৭০,৪৭১,১২০ বি ধারায়।