সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

OMG: হোলি উপলক্ষ্যে এই গ্রামে জামাইকে ডে’কে গাধার পিঠে ঘো’রা’নো হয়!

হোলি এমন একটি উৎসব যা আসমুদ্রহিমাচল সকলে ধুমধাম করে পালন করেন। এটি এমন একটি রঙের উৎসব বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত সকলের কাছে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধার প্রেমের সাক্ষী হয়ে থাকি আমরা সকলে এই দিনে। এইদিন বসন্তের আগমনের পাশাপাশি শীতের সমাপ্তি চিহ্নিত করে দেয়।

ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে রঙ্গলি হোলি পালিত হয়। এই বছর 17 ই মার্চ হোলিকা দহন এবং 18 ই মার্চ পালিত হবে ধুলান্দি উৎসব। এই প্রথার মধ্যে এমন কিছু প্রচার হয়েছে যা শুনলে আমি আজকে অবাক হয়ে যাবেন।

মহারাষ্ট্রের একটি গ্রামে পুলিশ সংক্রান্ত এমন একটি অদ্ভুত ঐতিহ্য প্রচলিত রয়েছে, যা দীর্ঘ 90 বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসছে। প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের বিড জেলার অন্তর্গত একটি গ্রামে নতুন জামাইকে গাধার পিঠে ছড়ানো হয়।

আরো পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্ব’প্ন চুরমার! এখন সভাপতির পদও ছা’ড়’তে হলো সিধুকে

তার সমস্ত পছন্দের জামা কাপড় দিয়ে দেওয়া হয় তাকে। এমন একটি অদ্ভুত প্রথা প্রচলিত রয়েছে কেজ তহশিলের ভিদা গ্রামে।এই নিয়মের মাধ্যম দিয়ে গ্রামের নতুন জামাইকে সকলে শনাক্ত করে ফেলেন কিন্তু শনাক্ত করতে সময় লাগে। এদিকে হোলির দিন যাতে ওই জামাই নিখোঁজ না হতে পারেন তার জন্য সমস্ত গ্রামবাসী ওই জামাই এর উপর নজর রাখে।

যেহেতু বই জামাই নিয়মের সাথে জড়িত হয়ে থাকেন তাই তিনি কোথাও যেতে পারেন না। এই প্রথা শুরু করেছিলেন আনন্দ রাও দেশমুখ নামে এক বাসিন্দা, যাকে ওই গ্রামবাসীরা ভীষণভাবে সম্মান করেন।

আনন্দ রাওয়ের জামাই এর মাধ্যমে এই প্রথম শুরু হয়েছিল যা আজও অব্যাহত। গ্রামের কেন্দ্রস্থল থেকে নতুন জামাই সরে বসুন গাধার পিঠে এবং 11 টার মধ্যে ওই যাত্রা শেষ হয়ে যায়।

যাত্রা শেষে জামাই পৌঁছে যান হনুমান মন্দিরে। এরপর জামাইকে নতুন পছন্দের পোশাক দেওয়া হয়। এই প্রথার একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে বহুবার ভাইরাল হয়েছে।