কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতারা পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরই দলের অন্দরে পরিবর্তনের দাবি নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন। এরপরই তড়িঘড়ি কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়। সেখানে সভাপতি পদে ফের একবার সনিয়া গান্ধীকেই পুনর্বহাল করা হয় সকলের সম্মতিক্রমে।
তবে নির্বাচনের এই ভয়ঙ্কর ফলাফলের কারণে দলীয় কর্মীদের মনে যে ক্ষোভ জমেছে, তা বুঝতে পেরেছিলেন সনিয়া গান্ধী।কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নভজ্যোত সিং সিধু।
তিনি ভেবেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হবেন, কিন্তু সভাপতির পদটুকুও রইল না আর। পঞ্জাব সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ভরাডুবির পরই মঙ্গলবার কংগ্রেসের অন্তর্লবর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধী নির্দেশ দিয়েছিলেন পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরের কংগ্রেস সভাপতিরা যেন নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দেন।
দলনেত্রীর নির্দেশ মেনেই পঞ্জাবে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নভজ্যোত সিং সিধু। বিদ্রোহের সুর না উচিয়ে, মাত্র এক লাইন লিখেই নিজের ইস্তফা পত্র জমা দেন এই প্রাক্তন ক্রিকেটার।
As desired by the Congress President I have sent my resignation … pic.twitter.com/Xq2Ne1SyjJ
— Navjot Singh Sidhu (@sherryontopp) March 16, 2022
এদিন সকালেই সনিয়া গান্ধীকে এক লাইনের একটি চিঠিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “আজ থেকে আমি পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলাম”। টুইটারে সেই চিঠির ছবি পোস্ট করেন সিধু। উপরে ফের এক লাইন- কংগ্রেসের সভাপতি যেমন চেয়েছিলেন, তার ইচ্ছেমতোই আমি ইস্তফাপত্র পাঠালাম।