মধ্যপ্রদেশের ভোপালের এই ঘটনা শুনলে আপনি চমকে যাবেন। মধ্যপ্রদেশের ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি সরকারি হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন সুনীল মন্ত্রী। অস্থিসংক্রান্ত যে কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে সকলে সুনীলের উপরেই আস্থা রাখতেন।
হাসপাতালে সবচেয়ে সিনিয়র অর্থোপেডিক সার্জন হিসাবে প্রচুর নামডাক ছিল তাঁর। তার একজন গাড়িচালক ছিলেন; তার নাম বিরু। ৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা নাগাদ খুন করা হয় বীরুকে। এর পরেই শুরু হয় ভয়ঙ্কর ঘটনা।
বীরুর মৃতদেহকে বাথরুমের মেঝেতে ফেলে টুকরো টুকরো করে কাটতে শুরু করেন সুনীল। দেহের টুকরোগুলি দেখে যাতে শনাক্ত করা না যায়, তাই তিনি ড্রাম-ভর্তি অ্যাসিডের মধ্যে টুকরোগুলো ডুবিয়ে রাখেন।
আরো পড়ুন: পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রেই লোকসভা আসনে হা’র’লো আপ
অ্যাসিড, ড্রাম এবং বড় আকারের বাসন সুনীল আগে থেকেই কিনে রেখেছিলেন। ঐ দিন সারা রাত ধরে বীরুর দেহ কাটতে থাকেন তিনি। পরদিন সকালে বীরুর পরনের জামাসহ রক্তে মাখা সমস্ত কাপড়ই তিনি বাড়ি থেকে কিছু দূরে ফেলে আসেন।
কেউ যাতে তাকে সন্দেহ না করে, তাই সেদিন সকালেও তিনি হাসপাতালে যান। দুপুর অবধি থেকে তিনি আবার বাড়ি ফিরে আসেন। আবার শুরু হয় মৃতদেহ কাটা।
কিন্তু এর মধ্যেই তার প্রতিবেশীরা পুলিশের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসককে রক্তমাখা জামায় মাঝেমাঝেই বাড়ির মধ্যে হাঁটাচলা করতে দেখা গিয়েছে।
এমনকি, তার বাড়ির দিক থেকে আসা অদ্ভুত পোড়া গন্ধে তাদের সন্দেহ আরো বেড়েছে। এরপর পুলিশ খোঁজ পেয়েই তার বাড়িতে তল্লাশি করতে আসে। বাড়ির ভিতর এসে তারা হাতেনাতে প্রমাণ পায়।