সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এবার ঘু’মি’য়ে ঘু’মি’য়ে’ই ওজন ক’মি’য়ে নিন! জানুন ৫ কৌ’শ’ল

শারীরিক ওজন বেশি হলে নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই ওজন স্বাভাবিক রাখাটা প্রতিটি মানুষের জন্যই খুব দরকারী। আর ওজন স্বাভাবিক রাখতে মানুষ নানা কাজ করে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন বেশি থাকলে বাইরে থেকে ফ্যাটবহুল দেখতে লাগার পাশাপাশি শরীরের অন্দরের বিভিন্ন অঙ্গের উপরও ফ্যাট জমা হতে থাকে।

আর তা থেকেই নানা ধরণের রোগ যেমন – ডায়াবিটিস, প্রেশার, কোলেস্টেরল ইত্যাদি শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। এমনকি ওবেসিটি র কারণে অনেক সময় ক্যানসারও হতে পারে। তাই ওজন যাতে না বাড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখা অবশ্যই দরকার আর এই বিষয়ে সচেতন হওয়াও জরুরি। আসলে মানুষের ওজন বাড়ার প্রধান সমস্যাই হল অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস।

অলস জীবনযাপন ওজন বাড়ার ক্ষেত্রে অন্যতম দায়ী। শারীরিক পরিশ্রম না করে শুধুমাত্র মাথা খাটিয়েই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনেক মানুষ উপার্জন করেন, সেই কারণে ও বাড়ে ওজন। আমরা বাইরের খাবার খেতে বেশি পছন্দ করি। আর বাইরের খাবার থেকেই শরীরে বেশি পরিমাণে তেল, চিনির মতো উপাদান প্রবেশ করে এবং শরীরে নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে ওজনও বাড়তে থাকে।

আরো পড়ুন: রাস্তার দুদিকেই বাড়ি, বিদেশের এই জায়গায় ভৌ’তি’ক কান্ডকারখানা হ’য়ে থাকে! এভাবে কা’বু হয় ভূ’ত

আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের কাছে হাজির করতে চলেছি এমন কিছু সহজ উপায় যা শরীরকে সুস্থ তো রাখবেই, সেই সাথে ওজন ও ঠিকঠাক থাকবে। জানেন কি আপনি ঘুমাতে ঘুমাতেও ওজন ঠিক রাখতে পারেন। কি অবাক হচ্ছেন! চলুন দেরী না করে দেখে নেওয়া যাক কি সেই সহজ উপায়?

প্রোটিন : খাবারের তালিকায় উপযুক্ত প্রোটিন থাকলে খুব সহজেই শরীরের ওজন কমানো যায়। তাই প্রতিটি মানুষের প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া অবশ্যই দরকার। প্রোটিন খেলে যেমন একদিকে শরীরে পেশির পরিমাণ বাড়ে তেমনই বিপাকের হারও ভালো থাকে।

প্রোটিনের কারণে ঘুমের সময় বিপাক ত্বরান্বিত হয় বলে তখন মাসল তৈরি হয় এবং শরীর থেকে দূর হয় ফ্যাট। আর ওজন খুব তাড়াতাড়ি কমতে শুরু করে। তবে রেডমিট খাওয়া কিন্তু উপকারী নয়। রেডমিট শরীরে খারাপ ফ্যাটের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এই ফ্যাট স্ট্রোক, হৃদরোগ ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যার আখড়া। তাই প্রতিটি মানুষের সচেতন থাকা বাঞ্ছনীয়।

বেশি করে ঘুম : ঘুমের সঙ্গে ওজনের রয়েছে বিশেষ যোগসূত্র। শরীরে সঠিক সময়মতো ঘুম খুব উপকারী। ঘুম যদি ঠিকমতো হয় তাহলে শরীরে বিপাকক্রিয়া সুসম্পন্ন হয়। আর তাতে ওজন বাড়ার আশঙ্কাও কমে যায়। বিভিন্ন গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, যদি দিনে অন্তত পক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুমানো যায় তাহলে ওজন কমতে পারে। আর যাঁরা ৫ ঘণ্টার মতো সময় ঘুমান তাঁদের ওজন বাড়তে পারে ৩২ শতাংশের বেশি। তাই পর্যাপ্ত ঘুম শরীর সুস্থ রাখার জন্য আবশ্যক।

​চাদর ছাড়া ঘুম : ঘুমের সময় চাদর গায়ে দিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস একেবারেই ভালো নয় বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণস্বরূপ তারা বলেছেন, শরীরে চাদর জড়িয়ে ঘুমালে বিপাকের হার কমে যায়। আর তাতেই তৈরী হয় নানা সমস্যা। শরীরে ফ্যাট জমতে শুরু করে। তাহলে চাদর গায়ে দিয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস ত্যাগ করুন।

আরো পড়ুন: বড় খবর: বাগডোগরা এয়ারপোর্ট ১৪ দিন ব’ন্ধ থাকবে, জেনে নিন তারিখ

​ঘুমের আগে স্নান : বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে স্নান করে ঘুমাতে গেলে শরীরে বিপাকের হার অনেক বেড়ে যায়। আর সেই কারণে ওজন কমে। অন্যদিকে গরমকাল স্নান করে ঘুমাতে গেলে ঘুমটাও ভালো হয়। দেখছেন তো স্নান, ঘুম, ওজন সবই একসূত্রে বাঁধা।

​দিনেরবেলায় সাঁতারকাটা : সাঁতার হল গোটা শরীরের ব্যায়াম। এটিকে এরোবিক এক্সারসাইজ বলা হয়। যেহেতু সাঁতারের মাধ্যমে শরীর দ্রুত নিজের ফ্যাট ঝরাতে থাকে তাই সাঁতার কাটলে ওজন দ্রুত কমে। তাই সাঁতার কাটার মতো ব্যায়াম আর নেই বললেই চলে। সারাদিনে যদি ৩০ মিনিট সাঁতার কাটা যায় তাহলে সবথেকে ভালো ফল পাওয়া যায়। সারাদিনে র ব্যস্ত সিডিউলে ৩০ মিনিট না হলেও দিনে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় বের করে সাঁতার কাটুন হাতেনাতে রেজাল্ট দেখতে পাবেন।