সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কানাডা-আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশে নি’ষি’দ্ধ হলো সর্ষের তেল! কিন্তু কারণটা কি?

স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় সরষের তেল। সরষে বাটাই হোক কিংবা কচু বাটা সরষের তেল অপরিহার্য। কিন্তু এর দামের ঝাঁজে রীতিমত কুপোকাত আম বাঙালি। কিন্তু আপনি কি জানেন এই সর্ষের তেল বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে নিষিদ্ধ। তাও আবার এমন কয়েকটি দেশে যেখানে প্রবাসী বাঙ্গালীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের খাদ্য ও ঔষধ তৈরির জন্য নিষিদ্ধ সরষের তেল। সরষে নামক এক গাছে বীজ থেকে তৈরি হয় সরষের তেল। যেমন তার ঝাঁজ তেমনি তার তেজ। এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় এই তেল।

রান্না করা তো বটেই এমনকি নানান ওষুধ প্রস্তুত করতে ব্যবহার করা হয় সর্ষের তেল। তবে ইউরোপ এবং আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে এই তেলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এর পিছনে রয়েছে কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ।

ইউনাইটেড স্টেটস ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, সরষের তেলে রয়েছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মানুষের হৃদপিণ্ড!

আরো খবর: BTS তারকার মতো হ’তে চেয়ে বহুবার অ’স্ত্রো’প’চা’র, জীবন দি’তে হলো তরুণ অভিনেতাকে

শুধু তাই নয় আরো নানান রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এই ইউরিক অ্যাসিড বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে ট্রাই গ্লিসারাইড জমা হয়। ফুসফুসের ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

শুধু তাই নয় সর্ষের তেল মেদ বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরে রক্তাল্পতা মতন সমস্যা হতে পারে। তারা এর উপরে একটি পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে একাধিক অ্যাসিড প্রবেশ করে শরীরে যা শরীরের কর্মক্ষমতা হ্রাস করে।

সরষের তেলে নিয়মিত ব্যবহার করলে এক ধরনের যৌগ শরীরে বাস করে। তাই আমেরিকা ইউরোপ এবং কানাডার মানুষ সরষের তেলের পরিবর্তে অন্য তেল ব্যবহার করেন রান্নার কাজে।