গত বছর থেকেই একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে ভারতবর্ষকে। তবে ভারতের পরীক্ষার দিন এখনো শেষ হয়নি। ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয় ধেয়ে আসছে ভারতের দিকে। ভারত মহাসাগরের উষ্ণতা দ্রুত হারে বাড়ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি এমনই যে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরাও। অর্থাৎ ইয়াস, আয়লা, ফণীর মতো আরো বড় বিপর্যয় ধেয়ে আসছে ভারতের দিকে। যার ফল ভোগ করতে হবে মুম্বাই এবং কলকাতাকে।
এদিকে আবার অ্যান্টার্কটিকার বরফ গলতে শুরু করেছে বহু আগে থেকেই। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা সেই বিষয়েও সতর্ক করেছেন। সমুদ্র জলের স্তর এমনিতেই বাড়তে শুরু করেছে। ভারত মহাসাগরের তাপমাত্রা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। এই ভাবেই যদি তাপমাত্রা বাড়তে থাকে তাহলে আগামী দিনের বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করে রয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য।
যদি এমনই অবস্থা চলতে থাকে তাহলে আগামী দিনে ভারতবর্ষে একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং সাইক্লোন আছড়ে পড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে। এর আগে বাংলাকে তছনছ করে দিয়ে গিয়েছিল আয়লা। উড়িষ্যাতে দাপট দেখিয়েছে ফণী। উড়িষ্যা এবং বাংলা উপকূলজুড়ে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে ইয়াস। ভবিষ্যতে ইয়াসের থেকেও ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আসতে চলেছে ভারতকে লক্ষ্য করে।
একদিকে যেমন সমুদ্রের উত্তাপ বাড়ছে, অপরদিকে তেমনি সমুদ্র জল স্তরও বাড়ছে। আন্টার্টিকার উত্তাপ বাড়ছে ফলে বরফ গলে যাচ্ছে। সমুদ্রের জলোস্তর যে হারে বাড়ছে তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। তারা জানাচ্ছেন ঠিক এই কারণেই অল্প কিছুতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ছে উপকূলবর্তী অঞ্চলেগুলি। জল নামতেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
শুধু তাই নয়, আরো উদ্বেগের বিষয় হলো সমুদ্রের জলে অক্সিজেনের মাত্রাও কমে আসছে। যার অন্যতম কারণ সামুদ্রিক দূষণ। গাছ কাটার জন্য পরিবেশে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তার প্রভাব সমুদ্রের উপরে পড়েছে। তা যেমন একদিকে সামুদ্রিক প্রাণীদের জন্য ক্ষতিকারক, যেমনি ভবিষ্যতে মানবপ্রজন্মের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে।
