মোমো খেতে কে না ভালোবাসেন! বিশেষ করে শীতকালের অন্যতম পছন্দের খাবারের তালিকায় থাকে এই মোমো। কেউ কেউ বলে থাকেন মোমোর জন্ম আসলে পাহাড়ে। দার্জিলিং থেকে এই রান্না করা কেউ একজন শিখে এসেছিলেন আর তারপর থেকেই এই বিশেষ খাদ্য বাঙালির পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নেয়।
বিয়ে বাড়ির স্ন্যাকস হোক কিংবা রাস্তায় বেরিয়ে জাঙ্ক ফুড। মোমোর জুড়ি মেলা ভার। স্বয়ং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সুস্বাদু খাবার খেতে বড়ই ভালোবাসেন এমনকি দার্জিলিং পাহাড়ে গিয়ে তিনি বেশ কয়েকবার মোমো বানিয়েছেন।
কিন্তু এত সুন্দর সুন্দর নাম থাকতেও কেন এমন অদ্ভুত নামকরণ জানেন এর পেছনে আসল রহস্য। আসলে তিব্বতে জন্ম হয়েছে এর। তিব্বতি ভাষায় মো শব্দের অর্থ হলো বাষ্প। এই বাষ্প থেকে তৈরি হওয়ার কারণেই তার নামকরণ করা হয় মোমো।
আরো খবর: এবার দু’র্নী’তি’র মাথাদের কো’র্টে হা’জি’র করুন, CBI-কে নি’র্দে’শ দিলো আদালত
শুধুমাত্র তিব্বতের তুলাধর জাতির মধ্যেই জনপ্রিয় ছিল এই মোমো। ধীরে ধীরে গোটা ভারতবর্ষে তা ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে নেপালের কাঠমান্ডু প্রদেশে সেখানকার ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন মোমো খেতেন। মোমো তৈরি করে বিক্রিও করতেন তারা আর সেখান থেকেই একদিন হঠাৎ করে ছড়িয়ে পড়ে এই খাবারের মাহাত্ম্য।
তারপর নানান রকম মোমো তৈরির প্রসেস শিখে নেন মানুষ। রাস্তায় রাস্তায় বেরোলেই মোমোর দোকান। ভাপা এই খাবার খেতে, মুখিয়ে থাকেন সকলে। তাহলে জানেন তো? কোথা থেকে এসেছে? এই মোমো নামকরণ।