নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত করতে নানান গাফিলতি করছে সিবিআই তাই আদালতে এবার ধমক খেলো তারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এর আগেও বেশ কয়েকবার ধমক দিয়েছে আদালতের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আলিপুর সিবিআই আদালতে বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন নিয়োগ-দুর্নীতির বিপুল অংকের টাকা যাদের কাছে পৌঁছেছে তাদেরকে অবিলম্বে যাতে হাজির করা হয় আদালতে।
বুধবার ইডি কৌঁসুলি দাবি করেন কেস ডাইরিতে উল্লিখিত নামগুলি এখন তাদের পক্ষে বার করা সম্ভব নয়। বিচারপতি আর্জি জানান, জোরে বলে করুন। আর কতদিন এইভাবে স্পিন বল ঘুরাবেন? নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ধৃত তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ বেসরকারি সংগঠনের নেতা তাপস মন্ডল এবং নীলাদ্রি দাসকে বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়।
সেখানে তাদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ সামনে আনা হয়। আইনজীবীরা অভিযোগ করেন টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে যদিও কত শতাংশ নম্বরের কত টাকা নেওয়া হয় সেই ব্যাপারে কিছু জানায়নি সিবিআই।
৬৮ শতাংশ থেকে ৭২ শতাংশ পর্যন্ত নির্দিষ্ট অংকের টাকা দিতে হতো ৭০ থেকে ৭২ শতাংশ বাড়ানোর জন্য আরও বেশি টাকা দিতে হতো। গোটা দুর্নীতিতে নাকি দুখানা স্তম্ভ রয়েছে। টাকা নিয়েছে একটা স্তম্ভ এবং অন্য স্তম্ভের কাছেই সেই টাকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বাঁকা পথের মাধ্যমে।
সেই দুটি স্তম্ভকে জোড়া লাগানোর চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই তাই কিছুটা দেরি হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা। এরপর বিচারপতি ওই আইনজীবীকে বলেন অভিযোগগুলো সময় সময় বদলে যাচ্ছে আসল অভিযোগগুলো হাজির করুন। কুন্তলের কাছে নতুন নতুন গল্প শুনতে পাওয়া যাবে বলেও রসিকতা করে জানান আইনজীবী।