কবিগুরু রহস্যময় বিশ্বের মাঝখানে স্থান পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করেছেন। বিস্মিত হয়েছেন তিনি। রহস্যময় বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের রহস্যভেদের ইচ্ছে সর্বদাই মানুষকে খোঁচা দিয়ে এসেছেন যুগ যুগ ধরে মানুষ সেই সব রহস্যেরভেদের চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু এখনও অনেক রহস্যে ভেদ হয়নি। আর সেই রহস্যভেদের ক্ষমতা ফেলুদা, ব্যোমকেশ, শার্লক হোমস্, মিসেস মার্পল কারও পক্ষেই সম্ভব নয়।
স্বয়ং প্রকৃতি এই রহস্যে তৈরি করেছেন। আর তার তৈরি বিস্ময় কাটানো তো সহজ কথা নয়। কিছু পর্যটক রহস্যের খোঁজেই বিশ্বজুড়ে পর্যটন চালিয়ে যান। তাই বিশ্বের কিছু রহস্যময় স্থানে মানুষ পৌঁছেও গেছে। তাঁদের সৌজন্যেই সেই জায়গাগুলি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কিন্তু আজও এমন কিছু জায়গা আছে যেগুলি দারুণ রহস্যময় হওয়া সত্ত্বেও যেন ঠিক মতো দর পায়নি।
১. ইংল্যান্ডের হাইগেট কবরস্থান
লন্ডনের হাইগেট কবরস্থানটি নাকি অশরীরীদের আড্ডা স্থল। এই কবরস্থানের মাঝের বাগানে নাকি একজন বয়স্ক মহিলাকে দেখা যায় যিনি একা মনে জোরে জোরে হাসেন। কবরস্থানের গম্বুজগুলি দেখতে ভয়ানক। লোকের বিশ্বাস সন্ধ্যাবেলা থেকে এখানে নাকি রক্তচোষা ভ্যাম্পায়াররা জেগে ওঠে।
২. অস্ট্রেলিয়ার উলুরু
প্রায় সারা বছর অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিলাসবহুল দ্বীপগুলিতে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে । কিন্তু এই অস্ট্রেলিয়াতেই একটি রহস্যময় স্থান রয়েছে যার খোঁজ খুব কম লোকেই রাখেন। এর নাম উলুরু বা আয়ের্স পাহাড়। অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের কাছে এটি কিন্তু একটি দারুণ অপশন। এটি বেলে পাথরে তৈরি একটি পাহাড়। এবং আশ্চর্যের কথা এই যে গোটা পাহাড়টিই একটি মাত্র পাথরে তৈরি। এত বড় পাথর বিশ্বে হয়তো কমই আছে। শুধু তাই নয় এই এক পাথরের পাহাড়টিই একটি গোটা দ্বীপ। দূর থেকে পাহড়টিকে দেখলে মনে হয় যেন একটি বিশালাকার কচ্ছপ সমুদ্রের উপর বসে আছে। এটি একটি প্রাগৈতিহাসিক পাহাড়। এটি অস্ট্রেলিয়দের আদি বাসস্থান।
৩. পোল্যান্ডর ক্রূকড্ ফরেস্ট
ক্রূকড্ ফরেস্ট পোল্যান্ডের রহস্যময় অরণ্য। এই জঙ্গলে রয়েছে প্রায় ৪০০টিরও বেশি পাইন গাছ। এবং সেই গাছগুলি কোনোটিই সোজাভাবে দাঁড়িয়ে নেই। অনেকটা আদ্যিকালের ছাতার হাতলের মতো বাঁকানো এই পাইন গাছগুলির কাণ্ড। শুধু তাই নয় কাণ্ডগুলি মোটামুটিভাবে ৯০ ডিগ্রি কোণে দাঁড়ানো।
৪. কানাডার দ্য বাঁফ স্প্রিংস্ হোটেল
দ্য বাঁফ স্প্রিংস্ হোটেলের নাম স্ট্যানলি কিউব্রিকের দ্য শাইনিং-এর ভক্তরা শুনেছেন। কিন্তু রহস্যময় এই হোটেলের কথা অনেকেই জানেন না। এই হোটেলে নাকি বাস করে অশরীরীরা। তাদের নিয়ে অনেক গল্পই শোনা যায়। স্থানীয়দের দাবি এই হোটেলের ৮৭৩ নম্বর ঘরে নাকি একটি ভয়ানক খুন হয়েছিল। সেই থেকেই ওই ঘরটি ভুতুড়ে হয়ে রয়েছে। হোটেলে নাকি একজন পাহারাদারকে মাঝে মদ্যেই দেখা যায় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি নাকি হাওয়ায় অদৃশ্য হয়ে যান।
৫. রসওয়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর রহস্যময় রসওয়েল হাবে নাকি মানুষের পরিবর্তে অন্যগ্রহের প্রাণীরা থাকেন। ভিনগ্রহীদের কথা প্রচলিত সেই ১৯৪৭ সাল থেকে। সে বছরই সেখানকার একজন কর্মী দাবি করেছিলেন যে কিছু উড়ন্ত সকার তিনি সেখানে দেখেছেন। সেবছর মার্কিন খবরের কাগজের হেডলাইন হয়ে গিয়েছিল এই ভিনগ্রহীদের কাহিনি।
৬. শয়তানের সেতু, জার্মানি
বিশ্বের অন্যতম রহস্যময় স্থান হল জার্মানির শয়তানের সেতু বা ডেভিলস্ ব্রিজ। অর্ধচন্দ্রাকৃতির এই সেতুটি রয়েছে ক্রোমলয়ের পার্কে। লোকের বিশ্বাস নিখুঁত চেহারার এই সেতুটি নাকি শয়তান নিজের হাতে তৈরি করেছে। লোকে বলে এই সেতুতে নাকি নানা অলৌকিক ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।