সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

হাসপাতালে ভ’র্তি মিশমী, মৃ’ত্যু’কে কাছ থেকে দেখে ভ’য়ে সিঁ’টি’য়ে গেছেন অভিনেত্রী

টলিউড ইন্ডাস্ট্রিজ অন্যতম একজন অভিনেত্রী হলেন মিশমি দাস। এই পথ যদি না শেষ হয়, ধারাবাহিকে অসামান্য অভিনয় করেছিলেন তিনি। এই মুহূর্তে অভিনেত্রী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। কিন্তু কি হয়েছে নায়িকার? ফেসবুক পোস্টে করনার সঙ্গে নিজের লড়াই এবং ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন অভিনেত্রী নিজেই। এই অভিজ্ঞতা শুনলে আপনি নিজেও শিউড়ে উঠবেন।

মিশমী জানিয়েছেন, তার এই জার্নিটা ট্রমাটিক। সকলকে সচেতন করে অভিনেত্রী লেখেন, আমরা সবাই এই ভাইরাসটাকে বড্ড হালকা ভাবে নিচ্ছি কিন্তু এই ভাইরাসটা এতটাই ভয়ঙ্কর যে মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে নিয়ে আসতে পারে। আমার জ্বর নাম ছিল না বেশ কয়েকদিন। ১০৪ ডিগ্রি জ্বর টানা থাকায় আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় দিন কয়েক আগে।

কোভিড ওয়ার্ডে থাকা রীতিমতো একটি চ্যালেঞ্জের বিষয় আমার কাছে। ওই জগত একেবারে অন্য একটি জগত। তুমি ওর ভেতরে থাকো একেবারে আলাদাভাবে। তোমার সঙ্গে ফোন থাকবে না বা তুমি পরিবারকে কাউকে দেখতে পাবে না।

আরো পড়ুন: বাজি ধ’রে ২ মিনিটে এক বোতল ম’দ শে’ষ করলেন যুবক, এরপরেই ম’র্মা’ন্তি’ক পরিণতি

যখন আমাকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখন আমার পাশে একজন হঠাৎ করে কার্ডিযাক অ্যারেস্ট হয়ে যায়। এত কাছ থেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে দেখে রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে গেছেন অভিনেত্রী। হাসপাতালে থাকার সময় তিনি গ্রেজ এনাটমি দেখতেন প্রত্যেকদিন। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় চিকিৎসক সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরি বদলে গেছে অভিনেত্রীর।

কোভিদ বাড়ি থাকা প্রত্যেক ডাক্তার এবং নার্স মিলে পাশের বেডে থাকা ঐ মহিলার প্রাণ বাঁচাতে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেয়। ওই মহিলার হৃদস্পন্দন কিছুক্ষণের জন্য হয়ে গিয়েছিল স্তব্ধ। কিন্তু অবশেষে চিকিৎসকরা সফল হন ওই মহিলাকে বাঁচাতে।

ওই মহিলাকে লড়াকু বলে উল্লেখ করে প্রশংসা করেছেন এবং নিজের জীবনের এই অধ্যায়কে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা বলে দাবি করেছেন অভিনেত্রী। মিষমি জানান, ওই মহিলা সাত থেকে আট দিন আগে করনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। শরীরে অন্য কোন সমস্যা ছিল না কিন্তু হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায় এবং হাসপাতালে আনার পরেই হয় কার্ডিয়াক এরেস্ট।

অন্যদিকে মিস মি করোনা আক্রান্ত হওয়ার তিন নম্বর দিন থেকে স্বাদ গন্ধ হারিয়েছিলেন। খাবার খেতে প্রচন্ড কষ্ট পাচ্ছিলেন। এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হলেও স্বাদ গন্ধ পাননি তিনি। এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সকলকে করোনা নিয়ে আরো বেশি সতর্ক থাকার কথা বলেছেন অভিনেত্রী নিজে।