গত সোমবার তুরস্ক সিরিয়ায় যে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে তার দরুন দুই দেশের আর্থিক সামাজিক মানসিক সব ধরনের পরিস্থিতি একেবারে নড়বড়ে হয়ে পরেছে। উদ্ধার কার্য এখনও চলছে আর তার ফলেই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে অনবরত। ইতিমধ্যেই ১১ হাজার ছাড়িয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা।
দেশের মানুষ মাথার উপর ছাড়া দাঁড়িয়েছে হারিয়েছে স্বজন দের, খিদে তেষ্টায় তারা দারুন ভাবে জর্জরিত। ৭.৮ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, যার ফলে একেবারে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বড় বড় সব বিল্ডিং। এই ভয়াবহ ভূমিকম্পের নির্মম উদাহরণ দেখে সারা বিশ্ব ভয়ে তঠস্হ, সন্ত্রস্ত।
ভূবিদ্রা জানিয়েছে তুরস্ক টেকটনিক প্লেটের এমন এক জায়গায় অবস্থিত যা ভূমিকম্প প্রবণ এলাকার মধ্যে অন্যতম একটি। এরকম ভূমিকম্প এর আগেও তুরস্ক সাক্ষী থেকেছে, তবে এই ভূমিকম্প থেকে ভারতের কি শেখা উচিত? ভারতের এমন সব শহর এলাকার রয়েছে যেগুলো অনেকটা তুরস্কের সাথে মিলে যায়।
তুরস্ক এবং সিরিয়ার নীচের অ্যানাটোলীয় এবং আরবীয় টেকটনিক পাতের সংঘর্ষের কারণেই দু’দেশের এই হাল হয়েছে। এদিকে ভারত তেমন জায়গায় অবস্থান না করলেও , ভারতীয় উপমহাদেশে হিমালয়ের বিস্তীর্ণ অঞ্চলও ভূমিকম্প প্রবণ। এখানে ৮ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের অনেকগুলি জোনর মধ্যে ৫ নম্বর জোন খুবই ভয়ানক। প্রায় ১১ শতাংশ ভূখণ্ড জোন ৫-এর অধীনে পড়ে, জ়োন ৩-এ রয়েছে ৩০ শতাংশ ভূমি। এই সমস্ত জন গুলোর মধ্যে ভারতের একটি অংশ আছে এটি হল গুজরাটের ভুজ। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য বিহারের দ্বারভাঙ্গা , অসমের গুয়াহাটি, জোরহাট, সাদিয়া এবং তেজপুর এই সমস্ত এলাকা ভূমিকম্প প্রবণ।