সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

যেন লাল চোখ! পৃথিবী থেকে কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূ’রে ন’য়া ছায়াপথের সন্ধান পে’লো নাসা

মহাকাশ নিয়ে যেন গোটা পৃথিবীর মানুষদের একটি কৌতুক হয় তবে এই কৌতুহলে কাজ করেন একমাত্র নাসা। বছরের পর বছর ধরে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে গোটা জগতের নানান কাহিনী বুঝে ওঠার চেষ্টা করে চলেছেন। প্রতিমুহূর্তে মহাকাশে কি হচ্ছে না হচ্ছে সমস্ত কিছুই পর্যবেক্ষণ করছেন তারা। ৩০ বছরে নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ঘুরে বেড়াচ্ছে মহাকাশে এবং তা দিনের পর দিন নানান রকমের ছবি তুলে ফেলছে টেলিস্কোপে।

গোটা মহাবিশ্বের বিভিন্ন জাগতিক ঘটনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফেলেছে, তবে সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন যা দেখে অবাক হওয়ার অবস্থা। অনেকেই এই ছবিটি দেখে যেমন মুগ্ধ হয়ে গেছে তেমনি অনেকেরই মনের নানান প্রশ্ন জেগেছে।

এই ছবিটি ওয়ারপুল গ্যালাক্সির যাকে মহাকাশবিজ্ঞানীরা m51 বলেও পরিচয় দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নাসা গ্যালাক্সির একটি ছবি শেয়ার করেছেন এবং যেখানে ক্যাপশনে লেখা “আমরা গোল গোল ঘুরে চলেছি, গ্যালাক্সিতে চলো যাই। একটি হাত যেন ডাকছে।”

আরো পড়ুন: PF-র নমিনি হিসেবে কি কা’রো না’ম নথিভুক্ত করেননি? তবে জানুন বিস্তারিত

এখানকার সমস্ত তারার রং গোলাপি আর তারাদের ক্লাস্টারের রং উজ্জ্বল নীল। উন্নত মানের ক্যামেরা দ্বারা এই ছায়াপথের ছবিটি তোলা হয়েছে, ছবিটি শেয়ার করার পরপরই অসংখ্য লাইক এবং কমেন্টের ভরে গেছে। অনেকে এই ছবিটিকে উদ্দেশ্য করে কমেন্ট হিসেবে লিখেছেন,” অসম্ভব সুন্দর দেখতে যেন এই ছবিটির সকলের মনকে কাড়ছে”।

এই ছায়াপথের নাম ওয়ালপুল গ্যালাক্সি m51 যেটা নাসার সংস্থার তরফ থেকে দেওয়া। যেটির পথ হল দীর্ঘ এবং ধূলিকণায় ভরা রয়েছে। হাইড্রোজেন গ্যাস সংকোচিত হয়ে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন তারা, যেগুলো গোলাপি রঙের তবে ছোট ছোট কয়েকটি তারাও রয়েছে যে গুলির রং নীল। এই ছায়াপথটি পৃথিবী থেকে ১৩০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে।

নাসা ১৫০ বছর ধরে চেষ্টা করছেন অন্য গ্রহের এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ করার, কিন্তু সেই চেষ্টা সবসময় বিফলে যাচ্ছে। তবে এই চেষ্টাকে সফলতার জন্য একটি অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছেন, বিকন ইন দ্য গ্যালাক্সি এর মাধ্যমে অন্য গ্রহের এলিয়েনদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন।

মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এই প্রকল্পে পৃথিবীর যেকোন নগ্ন মানুষের ছবি পাঠানো হবে এবং এই কাজটির মাধ্যমে যে অন্য গ্রহের এলিয়েনরা পৃথিবীর দিকে আকর্ষণ হবে সেটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।