টেট পরীক্ষার ক্ষেত্রে যেভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ সময়ের টালমাটার অবস্থা তাতে যদি পরীক্ষার্থীর বয়স বেরিয়ে যায় তার ক্ষেত্রে দায় নিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে, এমনই ঘোষণা করলেন সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরকম নির্দেশ দিতে গিয়ে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কে র্ভৎসনা করে বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ দুর্নীতি এবং অসদাচরণের জন্য বিখ্যাত কয়েকজন অপদার্থের জন্য আসলে যোগ্য ব্যক্তিরা সুযোগ পায় না”।
সোমবারে টেট নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক চাকুরী প্রার্থী, তিনি আদালতে জানান টেটের প্রশ্ন ভুলের জন্য নম্বর বাড়লেও বয়স পেরিয়ে যাওয়ার কারণে তাকে ইন্টারভিউতে বসতে দেওয়া হয়নি। এমনকি তিনি পর্ষদের ভুলের জন্য বঞ্চনার শিকার হয়েছেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার শুনানিতে সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন যে,” প্রাথমিক নিয়োগের সমস্যা হয়েছে পর্ষদের জন্যই। তাই তার খেসারত তাদেরকেই দিতে হবে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “ভুল প্রশ্নের থেকে নাম্বারে পেয়েও উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও বয়স পেরিয়ে যাওয়ার কারণে যারা ইন্টারভিউতে বসতে পারেন নি তাদের সমস্ত অভিযোগকে খতিয়ে দেখা হবে”।
ভা’গ্য ভা’লো ইনি চা’ক’রি হারিয়েছেন? এরজন্যই মা’সে ৮ লক্ষ টা’কা ইনকাম করেন মহিলা
দরকার হলেও বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সেই প্রার্থীদের ইন্টারভিউ বোর্ড গঠন করার জন্য তৈরি করতে হবে পর্ষদকে। ২০১৪ সালে নেফউর শেখ টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন এবং যেখানে ভুল প্রশ্ন আশায় তাদের ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তার ভুল প্রশ্নের ক্ষেত্রে ছয় নম্বর বাড়ে।
যার ফলে তিনি দেখেন তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন কিন্তু তাকে ইন্টারভিউতে বসার বিবেচিত করা হয়নি। নম্বর বেড়ে থাকলেও তার বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণেই তিনি ইন্টারভিউতে বসতে পারেননি। পর্ষদের তরফ থেকে তাকে কোন সুযোগ দেওয়া হয়নি এই সমস্যার কথাই সেই চাকুরী প্রার্থী আদালতে জানিয়েছেন।