পৃথিবীতে সবকিছু নিয়েই নতুন নতুন রেকর্ড তৈরি হতে পারে। আবার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান প্রমাণের ভিত্তিতে এই সব রেকর্ডগুলোকে সর্বসমক্ষে স্বীকৃতি দেয়। অন্যান্য বিষয়ের মতো বয়স নিয়েও যে রেকর্ড হতে পারে সেরকম একটি স্থান তাদের তালিকায় রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে প্রমাণ করার জন্য এই রেকর্ডে নাম নথিভুক্ত করতে ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির একটি জন্মের শংসাপত্র থাকা আবশ্যক।
আর আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে পৃথিবীর অতি আশ্চর্য সব জিনিসও আমরা দেখতে পাই। সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় এক বয়স্ক মহিলার ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে এই মহিলার চোখ যেন একেবারে কোটরে ঢুকে গেছে এবং শরীরের চামড়া সম্পূর্ণ শুষ্ক হয়ে গেছে।
আর সেখানেই দাবি করা হয়েছে এই মহিলার বয়স ৩৯৯ বছর, অর্থাৎ তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা। তবে বয়সের সংখ্যাটা অদ্ভুত না! ৩৯৯ বছর আবার কারও বয়স হয় নাকি! হিসেব বলছে, গত চার শতাব্দী ধরে বেঁচে আছেন এই মহিলা! আর এই হিসেব রীতিমতো অবাক করে দেওয়ার মতো।
আরো পড়ুন: কো’থায় আছেন ভিরানা-র লা’স্য’ম’য়ী জ্যাসমিন? এখনো নি’খোঁ’জ অভিনেত্রী!
এই খবরটি প্রকাশ্যে আসা মাত্রই তার সত্যতা যাচাই এর জন্য নানান খোঁজ খবর শুরু হয়। আর সেখান থেকেই জানা যায়, এই ছবিগুলো আসলে এমন এক বৌদ্ধ ভিক্ষুর যিনি নিজেই নিজেকে মমিতে পরিণত করেছেন। এই মহিলার ছবি শেয়ার করেছেন @auyary13 একাউন্ট ব্যবহারকারী একজন টিকটকার। সে ওই মহিলার নাতনি।
তিনি একজন বৌদ্ধ ভিক্ষু, তাঁর নাম লুয়াং ফো আই। তিনি থাইল্যান্ডে থাকেন এবং বর্তমানে হাসপাতালেই তার জীবন কাটান। তার আসল বয়স ১০৯ বছর। আর এই বয়সেও তিনি তাঁর বেশিরভাগ কাজ নিজেই করেন। বর্তমানে, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তির খেতাবের অধিকারী ১১৯ বছর বয়সী জাপানের কেন তানাকা। তিনি ১৯০৩ সালের ২রা জানুয়ারী জন্মগ্রহণ করেন।
এই ছবিগুলো আসল, কিন্তু মানুষের দাবি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ একজন মানুষ যদি ৪০০ বছর বেঁচে থাকে তাহলে তো বিজ্ঞান মিথ্যে হয়ে যাবে। বিজ্ঞান নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ জাগবে। এখনও পর্যন্ত মানুষের সর্বোচ্চ বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০।
আরো পড়ুন: এখনো কি বা’জ’ছে কো’ভি’ড কলার টিউন? সহজ উ’পা’য়ে এ’ভা’বে করুন বন্ধ
এ প্রসঙ্গে মস্কোর ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষক পিটার ফেডিচেভের বক্তব্য, ওষুধ ও সঠিক খাবারের সাহায্যে একজন মানুষকে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখা সম্ভব তা ঠিকই, তবে সেক্ষেত্রেও তার আয়ু হয়তো বড়জোড় কয়েক বছর বাড়বে, কিন্তু চারশো বছর কোনোভাবেই সম্ভব নয়।