একদিকে যেমন পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে ঠিক তার পাশাপাশি দাম বেড়ে চলেছে রান্নার গ্যাসের,যার কারণে মধ্যবিত্তর পকেটে টান পড়ছে। রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭৯ টাকা। এবার বাঙ্গালীদের রান্নাঘরেও কমতে চলেছে রান্নার পরিমাণ। গ্যাস বাঁচাতে হলে কি মাংস কষা, আলুর দম এই সমস্ত খাবার গুলি বন্ধ করে দিতে হবে?
না না ভয় পাওয়ার কারণ নেই কারণ মধ্যবিত্তের হোটেলে এমন এক যন্ত্র আছে যা কিন্তু সমস্ত সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। কিন্তু সেই যন্ত্রটির খুব একটা দাম দেন না মধ্যবিত্তরা। সেই যন্ত্রটি হল মাইক্রোওয়েভ। মাইক্রোওয়েভ প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে রয়েছে কিন্তু সবাই এর কদর বোঝে না। অনেকেই শুধুমাত্র খাবার গরম করার ক্ষেত্রে এই যন্ত্রটি ব্যবহার করে থাকেন।
কিন্তু অনেকেই জানেন না যে এই যন্ত্রের মাধ্যমে কিন্তু দিব্যি প্রত্যেকদিনের রান্না করে ফেলা সম্ভব। অবশ্য এ বিষয়ে আমাদের জানান শহরের অতিপরিচিত খাদ্য রসিক এবং ফুড ব্লগার পূর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি জানিয়েছেন আগে তার মা এবং ঠাকুর মারা ১০ জনের জন্য প্রতিদিন রান্না করতেন। এখন কিন্তু সংসার ছোট সে কারণে রান্নাবান্নার পরিমানও এখন কিন্তু কম।
ছোট সংসার হলে সেই সংসারের পরম বন্ধু হতে পারে মাইক্রোওয়েভ। কিন্তু এই যন্ত্রটির সবাই কিনে থাকলেও এর সঠিক ব্যবহার কিন্তু অনেকেই জানেন না। এই মাইক্রোওয়েভের মাধ্যমে কিন্তু বানিয়ে ফেলা যায় বিভিন্ন খাবার যেমন পোলাও, ভাত, আলু সিদ্ধ ইত্যাদি। এতকিছু যখন মাইক্রোওভেন মাধ্যমে করা সম্ভব তাহলে কেন বেশি টাকা খরচ করে আমরা গ্যাস ব্যবহার করি?
এই একই মত দিয়েছেন আর এক ফুড ব্লগার সায়ন্তনী মহাপাত্র। তিনি বহু রান্না মাইক্রোওভেন মাধ্যমে করেন এবং খুব তাড়াতাড়ি ও সেই রান্না গুলি হয়ে যায়। তিনি জানান, মাইক্রোওয়েভে মাছ কিন্তু খুব ভালোমতোই রান্না হয়। অনেক সময় চিংড়ি ভাপা তিনি করে দেখেছেন।
তিনি অনেক সময় অল্প লোকের জন্য পোলাও তৈরি করে দেখেছেন এবং সেটা খুবই সুস্বাদু হয় সেটাও তিনি জানিয়েছেন। ভাত রান্না করার ক্ষেত্রে তিনি জানান, গ্যাসে ভাত রান্না করার ক্ষেত্রে এক কাপ চাল দিলে, দু কাপ জল আমরা ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু মাইক্রোওয়েভে একটু বেশি জল ব্যবহার করতে হবে।
প্রথমে পাঁচ মিনিট ধরে হাই টেম্পারেচার দিতে হবে এবং তারপর ১০ মিনিট ধরে মিডিয়াম টেম্পারেচার। তাহলে একদম তৈরি ঝরঝরে ভাত, তবে আমরা মাইক্রো রান্না করার ক্ষেত্রে সব সময় কিছু জিনিসের উপর নজর রাখতে হবে।
প্রথমত মাইক্রোওয়েভে কখনোই স্টিল বা অন্য কোন ধাতুর বাসন ব্যবহার করা যাবে না শুধুমাত্র যেগুলি মাইক্রোওয়েভ প্রুফ সেগুলো ব্যবহার করতে হবে।
সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যে কতটা তাপমাত্রায় আপনি রান্না করছেন। সব সময় যে হাই টেম্পারেচার এই রান্না করতে হবে তার কিন্তু কোনো কারণ নেই।
মাইক্রোওয়েভে রান্না করার ক্ষেত্রে সব সময় একটু খেয়াল করে রান্না করতে হবে। ৫ মিনিট অন্তর অন্তর একটু নেড়েচেড়ে দেখতে হবে।
মাইক্রোওয়েভে রান্না করার ক্ষেত্রে জলের পরিমাণটা সবসময় একটু বুঝেশুনে দিতে হবে। বেশি দেওয়া যাবে না আবার কম দেওয়া যাবে না। সবসময় প্রত্যেকটা রান্না করার ক্ষেত্রে কতটা সময় লাগে সে ব্যাপারে নজর রাখতে হবে।