সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভারতের ১০ টি শক্তিশালী ও বি’ধ্বং’সী হাতিয়ার যা দেখে চীন-পাকিস্তান যমের ম’তো ভ’য় পায়

এবার শত্রুপক্ষ ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণ করার আগেই ভয়ে কাঁপবে, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। ভারতীয় মিলিটারির কাছে রয়েছে এমন কিছু হাতিয়ার যা দেখে চিনও আঁতকে উঠবে, সীমান্ত বিবাদের সময় LAC কাছে মোতায়েন করা হয়েছিল যা দেখে তাদের মাথা প্রায় এক প্রকার খারাপ হয়ে যাওয়ার উপক্রম, আসুন জানা যাক সেই ভয়ঙ্কর যুদ্ধাস্ত্রগুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে:-

আইএনএস চক্র পরমাণু সাবমেরিন :- এটি একটি পরমাণু সাবমেরিন; যা ভারতীয় নৌসেনার শক্তি বলা চলে, এটি ১১০.৩ মিটার লম্বা এবং সাবমেরিনের গতি প্রতি ঘন্টায় ১৯ কিলোমিটার, এমনকি জলের মধ্যে এটি প্রতি ঘণ্টায় ৬০৩ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। সবচেয়ে বেশি ৬০০ মিটার গভীর পর্যন্ত যেতে পারে, এতে ২৮ টর্পেডো লাগানো থাকে, তবে এখানেই শেষ নয় এতে রয়েছে তিনটি মিসাইলও, যা আকাশে আক্রমণ করতে পারবে। এমনকি এই সাবমেরিনটি চীনের সাবমেরিন, যুদ্ধজাহাজ সমস্ত কিছুকে নষ্ট করে দেবার ক্ষমতা রাখে।

ব্রহ্মস মিসাইল;- এটি শুধুমাত্র ভারতেই নয়, সারা দুনিয়ার সবথেকে বেশি ভয়ঙ্কর এবং ঘাতক মিসাইল। এটি ওজন তিন হাজার কেজি, ৮.৪ মিটার লম্বা, একটি ২০০ থেকে ৩০০ কেজি ওজনের পারম্পরিক সেমি আর্মার পিয়ার্সিং ও পরমাণু হাতিয়ার নিয়ে যাওয়ায় সক্ষম। তবে এটির সব থেকে মারাত্মক বিষয় হল মাটি অথবা সমুদ্রের মাত্র ৩ থেকে ৪ মিটার উপরে উঠে যেতে পারে, যা শত্রুপক্ষের রাডার ঘুনাক্ষরেও জানতে পারবে না। এর গতি ৪ হাজার ৯৩৯ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়, এমনকি মাঝরাস্তায় রিমোট কন্ট্রোলে গতিবেগ পরিবর্তনও করা যায়।

এস ৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম:- ভারতের কাছে রয়েছে এটি, যা পৃথিবীর সবচেয়ে আধুনিক ডিফেন্স সিস্টেম। এটি একসঙ্গে শত্রুপক্ষের একাধিক হামলাকে ছত্রভঙ্গ করে দেবার ক্ষমতা রাখে। সর্বাধিক ১৭ হাজার ২০৬ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় যেতে পারে।

বারাক এইট:- এটি মূলত লম্বা দূরত্বের মাটি থেকে আক্রমণ করার জন্য উপযুক্ত মিসাইল; যেটি ভারতীয় সেনার কাছে মজুত রয়েছে।এর ওজন ২৭৫ কিলোগ্রাম লম্বা ৪.৫ মিটার, এর ওপরে ৬৬০ কেজি ওয়েট লাগানো রয়েছে।

অগ্নি মিসাইল:- এটি সবচেয়ে শক্তিশালী মিসাইল, এর ওজন ৫০ থেকে ৫৬ হাজার কেজি; ১৫ কেজি ওজনের হাতিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম এই মিসাইল; এর বিষয়ে পাকিস্তানের কখনো ভাবতে পারেনি যা ভারতের কাছে রয়েছে।

ভি এল এস আর এস এম :- এটি ভারতীয় নৌসেনার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মিসাইল; এর ওজন ১৫৪ কেজি, মিসাইলটি ১২.৬ ফিট লম্বা, এটি সবচেয়ে বেশি ১২ কিলোমিটার উঁচুতে যেতে পারে, এটি যে কোন জাহাজে বসিয়ে পরিচালনা করা যেতে পারে।

ধনুষ:- ধনুষ কামান, ২০১৯ এটি ভারতীয় সেনাতে সামিল হয়েছিলো, যদিও প্রথমে ১১৪ টি অর্ডার করা হয়েছিল, জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ৪৬৪টি অর্ডার করা হয়েছে। এটি চালানো করার জন্য ৬ থেকে ৮ জন লোকের দরকার হয়। এর প্রতিটি গোলার রেঞ্জ ৩০ কিলোমিটার; ১৫ সেকেন্ডের তিন রাউন্ড কামান রাখতে পারে অর্থাৎ এটি ৩ মিনিটে ১৫ থেকে ৬০ মিনিটের ৬০ রাউন্ড ছাড়তে পারে। শত্রুপক্ষকে নিমেষেই ঘায়েল করতে পারে।

সুখোই ৩০:- এটি ভারতের পক্ষে এক দমদার ফাইটার জেট, এইরম বিমান ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে ১৭২ টি রয়েছে; এটি উড়ানোর জন্য ২ জনের দরকার হয়; এটি যুদ্ধের সময় পুরো হাতিয়ার সঙ্গে করে নিয়ে তিন হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে, যে কোন যুদ্ধ জয়ের ক্ষেত্রে জয় করে আসতে পারে এটি।

রাফায়েল ফাইটার জেট:- এই ফ্লাইট টি লম্বায় ৫০.১ ফিট; উচ্চতায় ১৭.৬ ফিট এবং ওজন ১০,৩০০ কিলোগ্রাম। এটি সক্ষম আকাশ থেকে আকাশ, আকাশ থেকে মাটি আকাশ থেকে জাহাজে পরমাণু হাতিয়ার নিয়ে যাওয়ার জন্য।

আইএনএস বিক্রমাদিত্য:- যা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় এয়ারক্রাফট ক্যারিয়েরস, এটি লম্বায় ২৮৩.৫ মিটার, এটি ভারতীয় নৌসেনার সামিল হয়েছে ২০১৩ সালে; এর আগে এটি সোভিয়েত নৌ সেনা ও রাশিয়ার নৌ সেনার পরিষেবা দিয়েছে, এটি একটি লড়াকু বিমান।

অর্থাৎ বলা যেতেই পারে ভারত নিজেকে এক সর্বশক্তিশালী দেশ হিসেবে তৈরি করে ফেলেছে, এরপর শুধুমাত্র ভারতের নাম শুনলেই হয়ত অনেক শত্রুরা ভেবে চিন্তে পা ফেলবে।