সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মাসে বেতনের থেকেও বে’শি টা’কা রো’জ’গা’র করতে চা’ন? জানুন স’হ’জ উ’পা’য়

বর্তমান পরিস্থিতিতে আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যয় করতে করতেই কার্যত সঞ্চয়ের দিকে আর নজর দেওয়া হয়ে ওঠে না মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের। অথচ ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য আয়, ব্যয় এবং সঞ্চয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখাটাও অত্যন্ত জরুরী। এমতাবস্থায় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বরাবর সঞ্চয়ের প্রতিই বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত কর্মীদের এই বিষয়ে বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন।

বেসরকারি সংস্থায় যারা কাজ করছেন মাসিক বেতনে সংসার চালিয়ে সেখান থেকে সঞ্চয় করা তাদের পক্ষে কিছুটা মুশকিল। তবে আয়ের ১০% হারে যদি সঞ্চয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা যায়, তাহলেও লাভ। এক্ষেত্রে চাকরিতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই এই ধরনের কোন বিনিয়োগের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। যেখানে বেশি সুদে রিটার্ন পাওয়া যায়।

যদি চাকরি করতে করতে বেতন কিছুটা বাড়ে, তাহলে সেই বাড়তি অংশটুকু দিয়েও বিনিয়োগ করা যেতে পারে। আয় যখন বাড়বে, তখন বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এতে ছোট ছোট বিনিয়োগ করেই কার্যত বড় তহবিল গড়ে তোলা যেতে পারে। যদি প্রতিমাসে কিছুটা সঞ্চয় করে রাখার প্রবণতা একবার গড়ে ওঠে তাহলে বিনিয়োগের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে।

মনে রাখতে হবে, অর্থও কিন্তু অর্থোপার্জন করতে পারে। তার জন্য প্রধান মাধ্যম হলো বিনিয়োগ। এসআইপি-এর মাধ্যমে প্রতি মাসে মিউচুয়াল ফান্ডে ২,৫০০ টাকা বিনিয়োগ করতে পারলে ৫ বছর পরে ১৫ শতাংশ রিটার্ন পেয়ে ২ লক্ষ টাকা জমিয়ে ফেলতে পারেন আপনি। এমনকী আরো মাত্র ৩ বছর বিনিয়োগ করলেই এই টাকাটাই আপনার বেড়ে হয়ে যাবে ৪ লক্ষ টাকা! অতএব ব্যয়ের পাশাপাশি সঞ্চয়ও কিন্তু জরুরি।