সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

মৃ’গী রো’গ থাকলে এই কাজগুলো করার আ’গে কয়েকবার ভাবুন, নইলে বি’প’দে পড়বেন

মৃগী হলো স্নায়ুতন্ত্রের জটিলতাজনিত একটি নিউরোলজিক্যাল রোগ । সাধারণত, মস্তিষ্কের কোষগুলো একে অপরের সঙ্গে বৈদ্যুতিক তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে সচল রাখে। কোনো কারণে মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপক ও নিবৃত্তিকারক অংশদ্বয়ের কার্যপ্রণালির ভারসাম্য হঠাৎ নষ্ট হয়ে গেলে বা কোনো বিঘ্ন ঘটলে মৃগীরোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে ।

সুস্থ–স্বাভাবিক একজন ব্যক্তি যদি হঠাৎ অস্বাভাবিকভাবে কাঁপুনি বা খিঁচুনির শিকার হন, চোখ-মুখ উল্টে ফেলে কিংবা কোনো শিশুর চোখের পাতা স্থির হয়ে যায়, একদৃষ্টিতে চেয়ে থাকে অথবা মানসিকভাবে সুস্থ কোনো ব্যক্তি যদি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন, তবে তাঁকে মৃগীরোগী হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। সংখাতত্ববিদদের মতে বর্তমানে বিশ্বের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের মৃগী রোগ আছে, যার শতকরা ৮০ ভাগ মানুষই থাকে মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশে।

মৃগী রোগের প্রধান চ্যালেঞ্জ-

মৃগীরোগের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় একটি চ্যালেঞ্জ। এখনও এই রোগকে ঘিরে সমাজে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে।

আরো খবর: ফের বা’র্ড ফ্লু নিয়ে চ’র্চা, পাখিদের মড়ক! এটাই হবে বিশ্বের পরবর্তী ম’হা’মা’রী?

মৃগীরোগের কারণ-

মৃগীরোগ হওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ নেই এবং শতকরা ৭০ ভাগের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা নির্দিষ্ট কোনো কারণ বের করতে পারেননি । তবে যেসকল কারণগুলো থেকে মৃগীরোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে সেগুলো নিন্মরুপ –
• জন্মের আগে বা পরে মস্তিষ্কে আঘাত।
•মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাব।
• মস্তিষ্কের কোনোরূপ সংক্রমণ।
• ব্রেইন স্ট্রোক বা অন্যান্য সমস্যা।
• পুষ্টিগত অভাব।
• মস্তিষ্কের টিউমার,প্রভৃতি।

মৃগীরোগের লক্ষণ –

বিশেষজ্ঞদের মতে প্রায় ৪০ ধরনের মৃগীরোগ হতে পারে। মৃগী রোগীর মধ্যে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে –
• হঠাৎ করেই শরীরের কোনো অংশে খিঁচুনি শুরু হওয়া ও ধীরে ধীরে তা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়া।
• শরীর শক্ত হয়ে গিয়ে নিচে পড়ে যাওয়া।
• অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
• হঠাৎ অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করা এবং হাত, পা ও মুখ বেকে যাওয়া।

মৃগীরোগের ডায়াগনোসি পদ্ধতি –

• মস্তিষ্কের এমআরএই এবং সিটি স্ক্যান এবং
• সিএসএফ পরীক্ষা হলো এই রোগ নির্ণয় করার প্রধান পরীক্ষা।

যেসব কাজ করা যাবে না –

• খিঁচুনি খুব ঘন ঘন হলে গাড়ি চালানো, সাঁতার কাটা এবং রান্না করা না করেই শ্রেয়।
• স্নান করার সময় বাথরুমের দরজা বন্ধ করা যাবে না, যাতে হঠাৎ কোনো অসুবিধা হলে সাহায্য করা যায়
• সাঁতার কাটার সময় এমন একজনকে সাথে রাখুন, যিনি খিঁচুনি শুরু হলে আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন।
• খেলাধুলার সময় সাবধান থাকতে হবে।

মৃগী রোগের চিকিৎসা আজ সাধারণ মানুষের হাতের মুঠোয়। মৃগীরোগে আক্রান্ত বেশির ভাগ মানুষ সঠিক চিকিৎসা ( অ্যান্টি এপিলেপটিক ওষুধ) এবং স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন।