সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

“আপনাকে ভোট দে’বো না”, ইমরান খানকে প্র’কা’শ্যে হু’ম’কি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খট্টকের বাদানুবাদ চলছে। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মানুষদের প্রতি যেভাবে সরকার অবহেলা করছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ইমরান খানের কাছে এবং তারপরে ইমরান খানকে তিনি ভোট দেবেন না বলে সেটাও পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, যা শুনে এক প্রকারের চটে যান পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

পাকিস্তানের একটি গণমাধ্যমের সূত্র ধরে জানা যায় বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে একটি বৈঠকে এই গোটা ব্যাপারটি তর্ক বিতর্ক শুরু হয়, এখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এই বৈঠকে একটি বাজেট উল্লেখ করা হয়। যেখানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, স্বল্পোন্নত দেশের মানুষেরা নতুনভাবে কোন গ্যাস সংযোগ পাচ্ছেন না তাহলে প্রধানমন্ত্রী কেনইবা তারা ভোট দেবেন? এইরকম ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রেগে যান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে জানান ব্ল্যাকমেইলিং যেন তিনি বন্ধ করেন।

এরপর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে যায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের, তার ফলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বৈঠক ছেড়ে চলে যান যদিও পরে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে আবার ডেকে আনেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেন, খাইবার পাখতুনখোয়াতে গ্যাস এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থা সঠিকভাবে সেখানকার মানুষ পারছেনা কিন্তু অন্যান্য যে সমস্ত অঞ্চলের মানুষ জন রয়েছে তারা এসব সুবিধা খুব ভালোমতোই পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বলেন,এরকম চলতে থাকলে অবশ্যই রাজ্যের মানুষ পিটিআইকে একদমই ভোট দেবেন না আগামী দিনে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেই বৈঠকে মিডিয়ার সামনে বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী তিনি কোনো রকমে কঠোরভাবে কিছু বলেননি। তিনি কোনো হুমকি দেননি, তিনি শুধু পাক মন্ত্রীকে কিছু অসুবিধার কথা তুলে ধরে ছিলেন।পাখতুনখোয়ায় যেভাবে গ্যাসের আকাল দেখা দিচ্ছে, কোন রকমে পূরণ করতে পারছেন না সরকার।

তিনি আরো বলেন, “ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আমার নেতাও আমি কখনোই ওনাকে বলিনি জনগণকে যদি গ্যাস সংযোগ না দেন তাহলে তাকে ভোট দেবো না”। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও জানান , তিনি শুধুমাত্র রুম থেকে বেরিয়ে ছিলেন সিগারেট খাওয়ার জন্য অন্য কোন কারন নয়। তিনি শুধুমাত্র ওই বৈঠকে গ্যাস সংযোগের ব্যাপারে কথা বলেছিলেন।