স্ত্রী মা হতে চান। অথচ স্বামী জেলে বন্দী। এমন অবস্থায় মাতৃত্বের অধিকার চেয়ে যোধপুর হাইকোর্টের কাছে আর্জি জানিয়ে ছিলেন এক মহিলা।
আদালত তার আরজি পর্যবেক্ষণ করে ওই মহিলার স্বামীকে 15 দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। এই সময়ের মধ্যে ওই মহিলাকে গর্ভধারণের সুযোগ দেওয়া হবে।
আদালত মনে করে এটা ওই মহিলার অধিকার। তাই তার অধিকারের স্বীকৃতি হিসেবে স্বামীকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।ওই মহিলার স্বামী নন্দলাল একটি খুনের মামলায় জড়িয়েছিলেন। এই কারণে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
আরো পড়ুন: সাবান-ডিটারজেন্টের ২০ শতাংশ দা’ম বে’ড়ে গেলো, দেখে নিন নতুন রেট
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি জেলে বন্দী রয়েছেন। সম্প্রতি তার স্ত্রী যোধপুর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সন্তানধারণ তার প্রাথমিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তার দাবি বিবেচনা করে যোধপুর হাইকোর্টের বিচারপতি মহিলার স্বামীকে 15 দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছে।
বংশ বিস্তার এবং সংরক্ষণ ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় দর্শনের মধ্যে পড়ে। রেখার স্বামী দোষ করলেও তিনি কোনো দোষ করেনি। তাই তার মাতৃত্বের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে স্বামীকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দুশাস্ত্র, ঋগ্বেদ এবং ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্মের প্রসঙ্গ টেনে আনা হয়েছে। এভাবে একজন বন্দিকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে তাকে সমাজের মূলস্রোতে ফেরার জন্য উৎসাহিত করা হবে।
উল্লেখ্য এর আগেও কুড়ি দিনের জন্য প্যারোলে তার মুক্তি মঞ্জুর হয়েছিল। সেই সময় ভালো আচরণের পাশাপাশি মেয়াদ শেষের পর সে আত্মসমর্পণ করায় আদালত খুশি হয়েছে।