সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

অভিনেতা সাংসদ দেবের এ’লা’কা’য় রেশনে দু’র্নী’তি’র অভিযোগ! মৃ’ত ব্যক্তিরাও তু’ল’ছে’ন রেশন

রেশন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এই বঙ্গে নতুন কিছু নয়। এবার তৃণমূল সাংসদ দেবের এলাকাতেও রেশন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। পাঁচ বছর আগের মৃত এক ব্যক্তিও এতদিন নির্দ্বিধায় রেশন তুলেছেন বলে জানা যাচ্ছে। মৃত ব্যক্তির নামের রেশন কার্ডে আজও রেশন তোলা হচ্ছে। অথচ তিনি মারা গিয়েছেন পাঁচ বছর আগেই। এমন ঘটনার কথা জানার পর থেকেই কার্যত এলাকায় হইচই পড়ে গিয়েছে। অনেকেই এর পেছনে বড়োসড়ো দুর্নীতির ইঙ্গিত পাচ্ছেন।

শুধু ওই একটি বিষয় নয়, আরো অনেক ক্ষেত্রেই মৃত ব্যক্তিদের নামে রেশন তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬ সালে ২৫ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছেন ঘাটাল থানার অযোগনগরের বাসিন্দা গৌর মান্নার। ৬৪ বছর বয়সী অবিবাহিত ওই ব্যক্তির নামে আজও রেশন উঠছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘এক দেশ, এক রেশন’ কার্ড প্রকল্পে আধার নম্বর সংযুক্ত করতে গিয়েই তার ভাইপো সুদীপ মান্না প্রথম বিষয়টি জানতে পারেন।

সেখানেই তিনি জানতে পারেন বিগত পাঁচ বছর ধরেই তার মৃত কাকার নামে রেশন উঠছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগের আঙুল উঠছে রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। সুদীপ মান্নার অভিযোগ, গৌর মান্নার মৃত্যুর পরেও তার নামে রেশন তুলেছেন রেশন ডিলার নিজেই। ঘটনার পর ঘাটাল মহকুমার ফুড সাপ্লাইয়ের অফিসে রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সুদীপ মান্না।

রেশন ডিলার মনোরঞ্জন ঘোষের দাবি, এরকম দু’চারটে ভুয়ো রেশন কার্ড নাকি সমস্ত রেশন ডিলারের কাছেই থাকে! না হলে রেশন ডিলারদের চলে না‌। তার এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠছে, গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তো তাহলে লক্ষ-লক্ষ রেশন ডিলার রয়েছেন। তাদের সকলের কাছেই যদি দু’চারটে করে ভুয়ো রেশন কার্ড থাকে তাহলে ভুয়ো কার্ডের সংখ্যা কত হতে পারে?