সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কাশ্মীর ফাইলস ছবি নি’ষি’দ্ধ করার ডা’ক মৌলানার, ভাইরাল ভিডিও

দ্যা কাশ্মীর ফাইলস সিনেমাটি বর্তমানে টক অফ দা টাউন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দু সপ্তাহ ধরে এই সিনেমাটির সিনেমাহলে চলছে এবং যাকে ঘিরে গোটা দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে আলোচনা। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে ১৯৯০ সালে কিভাবে কাশ্মীরে পণ্ডিতদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছিল।

বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রীর পরিচালিত কাশ্মীর ফাইলস সিনেমাটিতে নিখুঁতভাবে সমস্ত অত্যাচারের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। সিনেমাটি রিলিজ হওয়ার পরেই যথেষ্ট চর্চা শুরু হয়েছে তখনকার কাশ্মীরের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে। দু সপ্তাহের মধ্যেই বক্সঅফিসে এই সিনেমাটি রেকর্ড করে ফেলেছে।

এই দুই সপ্তাহের মধ্যে বক্সঅফিসে এই সিনেমাটি আয় করে ফেলেছে ২৩০ কোটি টাকা। সিনেমাটিতে যেভাবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ওপর নির্মম অত্যাচারের কথা তুলে ধরা হয়েছে যার জন্য একদিকে যেমন দেশজুড়ে পরিচালকের প্রশংসা শোনা যাচ্ছে, তেমনি উল্টোদিকে শোনা যাচ্ছে উস্কানি মূলক বার্তা দেওয়ার কথাও।

আরো পড়ুন: এটি এখনো পর্যন্ত সে’রা ছবি! ছবিটি একটু জুম করলেই আপনি ধ’র’তে পারবেন কারসাজি, দেখে নিন

অনেকেরই মতে এই রকম একটি সিনেমার জন্য সাম্প্রদায়িকতা তৈরি হতে পারে। এভাবে সিনেমাটিতে দুই জাতির লড়াইয়ের কথা বর্ণিত করা হয়েছে তাতে হিন্দু এবং মুসলিমের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।

জম্মু-কাশ্মীরে এই ছবিটি প্রচার করা ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দিয়েছে মৌলানা। মৌলানা ফারুক জম্মু এবং কাশ্মীরের জামিয়া মসজিদের একটি ভাষণ দেন সর্বসাধারণকে উদ্দেশ্য করে।

তিনি বলেন যে,” এই ছবিটিতে শুধুমাত্র এক দিকের কথাই তুলে ধরা হয়েছে, মুসলিমদের বেদনা এবং কষ্ট দুঃখ সম্পর্কে কোন কিছুই এই ছবিতে দেখানো হয়নি”।

তিনি ভাষণে জানান “যারা এই কাশ্মীর ফাইলস নির্মাণ করেছেন তাদের আমি ভাৎসনা জানাচ্ছি, তারা মুসলিম জাতির কোন কষ্ট দেখতে পায়নি, শুধুমাত্র কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর কি অত্যাচার হয়েছে সেটার ওপর ভিত্তি করে ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।

ওই সময়ে কত মুসলিমদের হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো কথা তুলে ধরা হয়নি”। মৌলানার মতে এখনো পর্যন্ত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছেন পরিচালকরা।