সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দেশে আ’স’ছে হাক্সভার্না ভেক্টর, এবার ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই চা’লা’নো যাবে এই স্কুটি

বর্তমান সময়ে যে সংস্থাই ভারতে তাদের নতুন গাড়ি কিংবা স্কুটার বা বাইক লঞ্চ করছে, তারা একটা কথা মাথায় রাখছে যে ইলেকট্রিক যানের চাহিদা বাড়তে চলেছে আগামীতে। আর ঠিক সেই সূত্র ধরেই ভারতের বাজার ধরার চেষ্টা করছে সকলে। সুইডেনের জনপ্রিয় দুই চাকা প্রস্তুতকারক সংস্থা হাস্কভার্না এবার তাদের নতুন বিদ্যুৎ চালিত স্কুটার ভারতের বাজারে লঞ্চ করতে চলেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে হাস্কভার্না ভেক্টর।

ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে বর্তমানে সাধারণ মানুষের উন্মাদনা আকাশ ছুঁয়েছে, তবে অবশ্যই সংস্থা তাদের নতুন স্কুটারের কনসেপ্ট ভার্শন সকলকে দেখিয়েছে। শুধু ভারত নয় ইউরোপে টেস্টিং হয়েছে এই স্কুটারটির, তাই মনে করা হচ্ছে বিভিন্ন দেশের বাজারে লঞ্চ হতে চলেছে হাস্কভার্নার এই স্কুটারটি। কিন্তু শুধু নতুন ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারে আসছে এই নিয়ে উন্মাদনা মানুষের তুঙ্গে, তা কিন্তু নয়।

এর সাথে রয়েছে আরও একটি কারণ, জানা যাচ্ছে ভারতের অটো মেকার বাজাজ তাদের জনপ্রিয় স্কুটার চেতকের সাথেই , হাস্কভার্না স্কুটারটি ডেভলপ করা হচ্ছে। আর ঠিক এই সূত্র ধরেই জানা যাচ্ছে, বাজাজ সংস্থার চেতকের ফিচারের সাথে হাস্কভার্নার বিভিন্ন ফিচার মিলে যাচ্ছে। এতে অবশ্য অবাক হওয়ার কিছুই নেই, কারণ বাজাজ ইলেকট্রিক স্কুটার টি তৈরি করতে,তাদের ফেসালিটি ব্যবহার করছে।

আরো পড়ুন: ডাকাতির টা’কা দুহাতে উড়িয়ে শাশুড়িকে ফ্ল্যাট ও প্রেমিকাকে iphone গি’ফ্ট প্রেমিকের

তবে সুইডেনের এই স্কুটার সংস্থা জানিয়েছেন, শহর কেন্দ্রিক মানুষদের উদ্দেশ্য করেই সমস্ত রকম ডিজাইন করা হয়েছে। তারা এটাও জানিয়েছে ভেক্টর কনসেপ্ট হল এমন একটি স্কুটার যা প্রথম তৈরী করেছে হাস্কভার্না। স্কুটারটি ফিচারের দিক থেকে বলতে গেলে, কম্প্যাক্ট ও এলিগেন্ট ফিচারে ঠাসা মোট কথা ব্যক্তিগত ট্রান্সপোর্টের দিক মাথায় রেখেই এটি তৈরী করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। তবে এই স্কুটারের পাওয়ার সেট আপ নিয়ে তেমন একটা কিছু জানা যায় নি।

আপাতত জানা যাচ্ছে এই স্কুটারের টপ স্পিড থাকবে ৪৫ টিভির কাছাকাছি। ২-৩ কিলোওয়াট মোটর থাকছে স্কুটারটিতে, এখনও তেমনভাবে প্রকাশ্যে কিছু আসে নি। তবে যাই বলা হোক না কেন, পারফর্মেন্সের দিক থেকে দারুণ হতে চলেছে হাস্কভার্নার ভেক্টর স্কুটার। এসব ছাড়াও সব থেকে বড় খবর হলো, সুইডিশ টু-হুইলার প্রস্তুতকারক সংস্থাটি এটিকে একটি মোপেড-শ্রেণীর যান হিসেবে বৈধতা দিতে পারবে। যার ফলেই এটি চালাতে লাগবে না কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স।