১ হোক কিংবা ২০০০ টাকার নোট, সবকিছুতেই একটি নির্দিষ্ট পরিমান খরচ হয়েছে। আমরা যে সব নোট টাকা ব্যবহার করে থাকি,সেইগুলো তৈরীর ক্ষেত্রে কেমন কি খরচ সেটা আমরা অনেকেই জানিনা।
কিছু বছর আগেই প্রতিটি ব্যাংক নোট তৈরি করার জন্য কত খরচ হয়? সেটা জানতে জনস্বার্থ মামলা রুজু করা হয়েছিল। সর্ব ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে সেটা প্রকাশ্যে এসেছিল।
তবে এই সমস্ত ব্যাপার জানার আগে আমাদের কয়েক বছরের আগের কথা মনে করতে হবে। ২০১৬ সালের ৮ ই নভেম্বর , রাতারাতি ৫০০-১০০০ টাকার নোট বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। যার প্রভাব এখনো সরকার ও বিরোধী দলের বিতর্ক এর মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মোদি সরকারের মতে, যদি পুরোনো টাকা বাতিল করা হয় তাহলে কালো টাকার লেনদেন কমানো সম্ভব হবে। তবে এই সেই কালো টাকার লেনদেন কমেছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলের নেতারা।
কিন্তু নতুন নোট বাজারে আসার পরে নগদ লেনদেনের পরিমাণ কিন্তু কমেনি, বরং তা বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে গৃহবন্দী অবস্থাতেও ব্যাংক নোটের সংখ্যা ও তার ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকটাই।
২০১৮ সালে একটি সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল, যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল প্রতিটি ব্যাংক নোট তৈরি করার পেছনে কত খরচ হয় সরকারের।
আরো পড়ুন: কোনো ব্যাংক জালিয়াতির অ’ভি’যো’গ শু’ন’তে না চা’ই’লে কী করবেন? জেনে নিন চটজলদি
তাতে জানা গিয়েছে ২০০০ টাকার একটি নোট তৈরি করতে সরকারের খরচ হয় , ৪.১৮ পয়সা। ৫০০ টাকা তৈরী করতে খরচ হয় ২.৫৭ টাকা। এদিকে আবার ১০০ টাকার ব্যাঙ্ক নোট তৈরী করতে খরচ হয় ১.৫১ টাকা।
২০ টাকার নোট বানাতে খরচ হয় ১ টাকা ও ১০ ও ৫০ টাকার নোট বানাতে খরচ হয় ১.০১ টাকা। পুরোনো ৫০০ টাকার নোট তৈরীর ক্ষেত্রে রয়েছে পার্থক্য। কারণ আগের নোটের সাথে নতুন ৫০০ টাকার নোট তৈরীর খরচের পার্থক্য ৫২ পয়সা।