একটা সময় তার উচ্চতা ছিল অনেক কম। উচ্চতা তাতে তিনি এতটাই খাটো ছিলেন যে সেনাবাহিনীর চাকরির সুযোগ হারিয়ে ছিলেন তিনি। তারপর আচমকা একদিন ঘুম ভেঙে নিজেকে আয়নায় দেখে চমকে উঠলেন তিনি।
যেন রীতিমতো ম্যাজিকের মত তার উচ্চতা বেড়ে গিয়েছে। না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল। ছোটখাটো মানুষ থেকে দৈত্যাকার চেহারা হয়ে গিয়েছে তার! ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি যিনি একই জীবনে খর্বকায় এবং দৈত্যাকার ছিলেন, সেই ব্যক্তি অস্ট্রিয়ার গাজ শহরের অ্যাডাম রেইনার।
1899 সালে তার জন্ম হয়েছিল। তার বাবা এবং মা দুজনে ছিলেন স্বাভাবিক উচ্চতা সম্পন্ন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। তবে তখন তার উচ্চতা ছিল মাত্র চার ফুট 6 ইঞ্চি। পরের বছর 2 ইঞ্চি উচ্চতা বাড়তেই তিনি সেনাবাহিনীর পরীক্ষায় বসে পড়েন।
আরো পড়ুন: এতো পরিমাণ সিজার কে’ন? প্রসূতি মৃ’ত্যু’র হা’র নিয়ে ত’দ’ন্তে নামছে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা
তখন অ্যাডামের চেহারায় ছিল অনেক রোগা। যে কারণে তাকে অকৃতকার্য হতে হয়। তবে উচ্চতায় কম হলেও তার হাত-পা গুলো ছিল অবিশ্বাস্য রকমের লম্বা।
প্রথমবার সেনা পরীক্ষায় বসার সময় তার জুতোর মাপ যা ছিল দ্বিতীয়বার তার দ্বিগুণ হয়ে যায় তার পা। এত কম উচ্চতার ব্যক্তির এত বড় পা দেখা যায় না। তার বয়স যখন 21 বছর তখন মারাত্মকভাবে বাড়তে শুরু করলেন অ্যাডাম।
সাধারণত 21 বছরের পর থেকে মানুষের উচ্চতা আর বাড়েনা। কিন্তু অ্যাডামের ক্ষেত্রে ঘটলো উল্টোটা। 1932 সালে তার উচ্চতা হল 7 ফুট 2 ইঞ্চি। তখন তার বয়স ছিল 33 বছর।
তার শিরদাঁড়ার কিছু অংশও বেঁকে যেতে শুরু করে। চিকিৎসকরা তাকে পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান তিনি এক্রোমেগালি রোগে ভুগছেন। এই রোগে গ্রোথ হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষরণের প্রভাবে তার বৃদ্ধি হতে থাকে। যে কারণে এমন অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হয়েছিল তার।