সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ব্রাহ্মণ পাত্রী মিলছে না, ৪০ হাজার ব্যাচেলরের মাথায় হা’ত, বসতে পারছেন না বি’য়ে’র পিঁড়িতে

রাজ্যে আকাল পরেছে ব্রাক্ষ্মণ পাত্রীর, যার ফলেই একেবারে বিয়ে করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে পাত্রদের। এক দুইটা পাত্র তো আর নয়, একেবারে ৪০ হাজার পাত্র। তামিলনাড়ু রাজ্যের আকাল পরিস্হিতির পর এবার ভিনরাজ্যে খোঁজ পরেছে ব্রাক্ষ্মণ পাত্রীর। সত্যি সম গোত্রীয় পাত্রীর খোজ যখন কোথাও পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না ,তখন একমাত্র ভরসা হ এ দাঁড়িয়েছে গোবলয়ই। আর এরপর থেকেই এক জাতের মেয়েদের খোঁজে চলছে বিভিন্ন অভিযান।

আসলে সম্প্রতি খবরের কাগজে উঠে এসেছে খবর,যা দেখে অবাক সবাই। তামিলনাড়ুর ব্রাক্ষ্মণ পাত্র সংখ্যাটা ৩০-৪০ হাজার যারা কিনা বিয়ের জন্য সমগোত্রীয় পাত্রী খুঁজে পাচ্ছে না রাজ্যে। তামিলনাড়ুতে এমনিতেই প্রতি ১০ টি ছেলে হিসেবে পাত্রী রয়েছে ৬ টি, যার মধ্যে আবার কয়েকটি হাতেগোনা ব্রাক্ষ্মণ পাত্রী। তাই পাত্রের পছন্দসই পাত্রী একেবারে হাতের নাগালের বাইরে।

কিন্তু এভাবেকি বসে থাকা সম্ভব? কখনই না ব্রাক্ষ্মণ ছেলেদের কথা মাথায় রেখেই এবার তামিলনাড়ুর একটি সংঙ্ঘ যারা কিনা ভিনরাজ্যে ব্রাক্ষ্মণ পাত্রীর খোজার অভিযান চালিয়েছে। দিল্লি থেকে শুরু করে, পটনা, লক্ষ্ণৌ, রাচী, ইতিমধ্যেই এইসব রাজ্য থেকে খোঁজ পাওয়া গেছে অনেক মেয়ের। তবে এই সঙ্ঘের মধ্যে রয়েছে কিছু শর্ত, মেয়েদের অবশ্যই লিখতে পড়তে জানতে হবে হিন্দি।এই সঙ্ঘের তরফে জানানো হয়েছে, আসলে অনেকটাই ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে এই পদক্ষেপে।অনেক মানুষ এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।

কিন্তু এই অবস্থার কারণ কিন্তু পাত্রীর সংখ্যা কম , এটাই শুধু কারণ না। সময়ের পরিবর্তন ঘটলেও ব্রাক্ষ্মণ সমাজের বিয়ের রীতি নিতীর পরিবর্তন হয়নি এখনও। তাই ব্রাক্ষ্মণ মেয়েদের অভিভাবকরাই অন্যত্র মেয়ের বিয়ে দিতে সহজেই রাজি হয়ে যায়। তবে যাই হোক না কেন, ব্রাক্ষ্মণ ছেলেদের পাত্রীর খোজ বহাল থাকবে বলেই জানিয়েছে সেই ব্রাক্ষ্মণ সংঘ।