সোমবার বীরভূমের বোলপুর এলাকায় সামনে এল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সেখানের একটি চায়ের দোকানে দেখা গেল ওএমআর সিটে মুড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে কেক। ঘটনায় হতবাক নেটিজেনেরা। জানা গিয়েছে একটি বেকারি কেক সংস্থার তৈরি কেক সেগুলি। কিকরে উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট গুলি বাইরে এল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। চায়ের দোকানদার বা কোম্পানিকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা কোন উত্তর দিতে চাননি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২২ সালের ২০ মে রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতাকে প্রথম চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন। এর পর কম জল ঘোলা হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের নাগপাশে আবদ্ধ হয়েছে শাসক দলের তাবড় তাবড় নেতা মন্ত্রীরা। একের পর এক শুনানিতে শিক্ষক-অশিক্ষকের চাকরি খুইছেন।
এদের মধ্যে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষক,নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। সর্বমোট হাই কোর্টের নির্দেশে এখনো পর্যন্ত চাকরি খুয়েছেন মোট ৪,৭৮৪ জন।তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেচ্ছা বেরিয়ে পড়ছে।
আরো খবর: আজ শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস, ভি’জ’তে পা’রে কলকাতা
সূত্রের খবর, যেসকল কর্মীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাদের কারও নম্বর বাড়ানো হয়েছে,আবার কারও অদ্ভুতভাবে ওএমআর শিটে নম্বর বেশি দেওয়া থাকলেও সার্ভারে কম নম্বর আপলোড করা হয়েছে। অর্থাৎ যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দিয়ে,অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই নম্বরের গোলযোগ হয়েছে।
পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র অর্থাৎ ওএমআর শিট ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষিত করে রাখতে হয়। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এটিই সবথেকে বড় হাতিয়ার।এবার সেই উত্তরপত্রকেই কেক-এর মোড়কে পরিণত হতে দেখে হতবাক রাজ্যবাসী।