বহুদিন ধরেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছিল হার্দিক পাটেলকে কেন্দ্র করে। জানা গিয়েছিল খুব শিগগিরই হার্দিক পাটেল কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেবেন। তবে অবশেষে সেই জল্পনা সত্যি বলে প্রমাণিত হলো। তিনি কংগ্রেসের সমস্ত পর থেকেই নিজেকে সরিয়ে নিলেন।
জানা যায় বেশ কিছুদিন ধরেই হার্দিকের সঙ্গে কংগ্রেস দলের সম্পর্কের মধ্যে একটি দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, যার জন্য বিভিন্ন কংগ্রেসের নেতৃত্বে সমালোচনাতে তাঁকে জড়ানো হতো।
সবথেকে বড় রাজনৈতিক চর্চা তখনই শুরু হয় যখন, নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে কংগ্রেস নামটি সরিয়ে দিয়ে ছিলেন। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের যে সমস্ত একাউন্ট ছিল সমস্ত থেকেই নিজেকে সরিয়ে ফেলে ছিলেন।
আরো পড়ুন: আজ কি তবে গ্রে’ফ’তা’র হবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়?
হার্দিককে কেন্দ্র করে এখন নতুন সমস্যা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, নির্বাচনের আগে যেভাবে হার্দিক পদত্যাগ করলেন তাতে কংগ্রেসের পক্ষে খুব একটা ভালো হবে না।
সম্প্রতি একটি টুইট করেছেন হার্দিক সেখানে লিখেছিলেন,” আজ আমি কংগ্রেস দলের থেকে ইস্তফা দিয়েছি এবং এই সিদ্ধান্তকে অবশ্যই স্বীকার করে নেবেন গুজরাটের মানুষজন। আমি দলের বাইরে থেকেই আগামী দিনে গুজরাটের মানুষদের জন্য ভালো কাজ করতে পারব বলেই আমি মনে করছি।”
কংগ্রেস দলের ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি জানান,” কংগ্রেস দলে নতুন করে নরেশ প্যাটেল কে নিযুক্ত করা নিয়ে যে সমস্ত কথাবার্তা ইতিমধ্যেই চলছে তাতে সম্প্রদায়কে অপমানিত করা হচ্ছে এবং এই সমস্ত কিছু কয়েক মাস ধরে চলছে তবুও এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি দল। আমার মনে হয় এই বিষয়ে অত্যন্ত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
রাজনৈতিক বিদদের একাংশ দাবি ২০১৭ সালের ভোটের পর থেকে হার্দিককে কোনরকমে কাজে লাগানো হয়নি।প্রতিনিধিদলের প্রধান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে নিয়ে কোনরকমে হতাশ নন হার্দিক, শুধুমাত্র রাজ্যের নেতাদের নিয়েই তিনি বিরক্তি বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন।