বর্তমানে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতে একজন করে প্রেসার রোগী রয়েছে। একবারে এই রোগে যদি আক্রান্ত হয়ে যান কোন মানুষ তাহলে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া যায় না। এই রোগ থেকে স্ট্রোক থেকে হার্ট অ্যাটাক সবকিছুই হতে পারে।
তবে এত সমস্যা জানার পরেও এই রোগ নিয়ে একেবারেই সতর্ক নয় সাধারণ মানুষ। আর এই অসাবধানতা থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে নানান রকম সমস্যা। আমাদের শরীরে রক্ত নালীর ভেতর থেকে যে রক্ত প্রবাহিত হয় সেই প্রবাহের সময় রক্তনালীর ভেতরের দেয়ালে রক্ত যে চাপ সৃষ্টি করে তা হল ব্লাড প্রেসার।
এবার কোন মানুষের পেশার যদি মোটামুটি ১৪০/৮০ উপরে চলে যায় তাহলে সতর্ক হয়ে থাকতে হবে তাকে। আগে ভাগে সতর্ক না হলে কখনোই সুস্থ থাকতে পারবেন না আপনি। দেশের পাশাপাশি আবার অনেক সময় দেখা যায় অযাচিত অতিথি হয়ে এসেছেন সুগার।
আরো পড়ুন: এই বছরের বৃষ্টিপাত নি’য়ে কি বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র?
কোন মানুষের প্রেসার এর পাশাপাশি যদি সুগার রোগ ধরে যায় তাহলে আরও সমস্যা বেড়ে যাবে। একবার যদি বেশি পরিমাণ শর্করা জমে যায় শরীরে তাহলে বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হয়ে যায়। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা কি কি সর্তকতা অবলম্বন করতে বলেছেন এবং সুগার এবং প্রেসার থাকলে আমাদের শরীরে কি কি ক্ষতি হয়ে যেতে পারে জানিয়েছেন সকলকে।
কিডনি খারাপ হয়ে যেতে পারে: সুগার বেশি থাকলে কিডনির ওপর ব্যাপক আকারে প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে কিডনি থেকে প্রোটিন বেরিয়ে গেলে দেখা যায় সমস্যা। প্রেসার বেশি থাকলে কিডনি রোগের সমস্যা দেখা যেতে পারে। আবার অন্যদিকে সুগার এবং প্রেসার দুটি একসঙ্গে থাকলে কিডনি খারাপ হয়ে যেতে পারে তাই আগে থেকেই সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
চোখের সমস্যা; সুগার মানে চোখ খারাপ হয়ে যেতে পারে। আবার একসঙ্গে যদি প্রেসার এবং সুগার থাকে তাহলে চোখের রেটিনাতে মূল সমস্যা তৈরি হয়। এমনকি রক্তনালীগুলো সরু হয়ে যায় সব মিলিয়ে চোখের দারুন ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। এমতাবস্থায় প্রতিবছর একবার করে রেটিনা টেস্ট করানো উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
হার্টের সমস্যা: রক্তচাপ বেশি থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই হার্ট সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর পাশাপাশি যদি সুগার থাকে তাহলে সমস্যা আরো বেশি বেড়ে যায়। সুগার থাকলে হার্টের বিভিন্ন রক্তনালীর ভেতর প্রদাহ হয়। তৈরি হয় জটিলতা ফলে হার্ট ব্লক হলে হার্ট ফেল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
আরো পড়ুন: অ্যাকোয়ারিয়ামে কতগুলো মাছ রা’খা আপনার প’ক্ষে শুভ?
স্ট্রোক: হার্ট এর মতো মস্তিষ্কে রয়েছে অসংখ্য রক্তনালী যার মধ্যে প্রবাহিত হয় রক্ত। প্রেসার বেশি থাকলে এই রক্তনালি ছিঁড়ে যেতে পারে ফলে স্ট্রোক হতে পারে। আবার সুগার থাকার কারণে অনেক সময় মস্তিষ্কের রক্তনালী প্রদাহ হয় ফলে স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেক বেশি বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস থাকলে অনেক সময় স্মৃতি শক্তিও কমে যেতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
এ তো গেল সমস্যার কথা কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গেলে আপনাকে নিয়ে কিছু মেনে চলতে হবে।চলুন জেনে নেওয়া যাক কি সেই নিয়ম।
নিয়মিত প্রেশার মেপে নিতে হবে।
ঠিক একইভাবে বাড়িতে সুগার মাখতে হবে নিয়মিত।
নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে।
ব্যায়াম করতে হবে নিয়মিত।
চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে।