সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

গরমের সিজনে দা’রু’ণ ব্যবসা, বাড়িতে থেকেই আ’য় হবে মোটা টা’কা

করোনাকালীন সময়ে কাজ হারিয়ে বেকার হয়েছেন বহু মানুষ। তাই অনেকেই এই পরিস্থিতিতে ব্যবসা করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। আজকের প্রতি বেদনে এমন একটি ব্যবসা করার কথা আপনাদেরকে বলব যা থেকে মোটা টাকা উপার্জন হতে পারে আপনার। বছরে হেসেখেলে দেড় থেকে 2 লাখ টাকা উপার্জন নিশ্চিত।

চৈত্র শেষে বৈশাখ শুরু হতেই গরমে কাবু কলকাতাবাসী। ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা 35°C পার হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় সিজন অনুযায়ী ব্যবসা করার কথা ভাবলে রান্নাঘরের ব্যবসা আপনার কাছে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অপশন।

এই গরমেই হাঁসফাঁস অবস্থাতে অতি সহজ ভাবে ইউনিট সেট করে মোটা টাকা উপার্জন করতে পারেন। গরমে বাজার থেকে পেঁয়াজ অদৃশ্য হতেই অর্থনীতির নিয়মেই চাহিদা আকাশ ছোঁয়া, আর তার জেরেই ব্যাপক দাম বেড়ে যাওয়ায় তাতে হাত দিতেই ছ্যাঁকা খেতে হয়। এরকম পরিস্থিতিতে যদি পেঁয়াজের পেস্টের ব্যবসা করার কথা ভাবেন তাহলে তা সোনায় সোহাগা।

আরো পড়ুন: মায়ের শাড়ি পরে বাৎসরিক কা’জ শে’ষ করলেন চৈতি ঘোষাল

পেস্ট তৈরির ব্যবসা নিয়ে একটি প্রোজেক্ট রিপোর্ট বানিয়েছে Khadi Village Industries Commission (KVIC)। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, একটি পেঁয়াজ পেস্ট তৈরির ইউনিট বসাতে 4.19 লাখ টাকার প্রয়োজন হয়।

অর্থাৎ মাত্র 4.19 লাখ টাকায় এই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। আর যদি ব্যবসা শুরু করার জন্য টাকা না থাকে, তাহলে আপনি সরকারের মুদ্রা যোজনার আওতায় লোনও নিতে পারেন।

খরচের হিসাব : বিল্ডিং শেড বানাতে 1 লাখ টাকা, ইউনিট বানানোর নানা যন্ত্র কিনতে 1.75 লাখ টাকা, এবং ব্যবসা চালাতে 2.75 লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। এই ইউনিটের মাধ্যমে এক বছরে প্রায় 193 কুইন্টাল পেঁয়াজের পেস্ট তৈরি করা যায়। প্রতি কুইন্টাল পেস্ট আপনি 3000 টাকায় পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে এর দাম হবে 5.79 লাখ টাকা।

আরো পড়ুন: কবে কলকাতায় কালবৈশাখী দা’প’ট দেখাবে? জানুন আবহাওয়ার আপডেট

মার্কেটিং প্রসেসব : পেঁয়াজের পেস্ট তৈরি করলেই তো হল না, তার ভালো মার্কেটিং করাও প্রয়োজন। আজকাল অত্যাধুনিক যুগে সব জিনিসের মার্কেটিং ডিজাইনিংয়ের উপর নির্ভর করে। সেই জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া, অনলাইন ওয়েবসাইটও খোলা যায়।

হিসেব অনুযায়ী, পুরোদমে এই ব্যবসা চালালে পেস্ট তৈরিতে এক বছরে 7.50 লাখ টাকার বিক্রি হবে। অন্যদিকে, খরচ হচ্ছে, 4.19 লাখ টাকা। সমস্ত খরচ বাদ দিয়েও মোট 1.75 লাখ টাকা বাঁচবে। অর্থাৎ লাভ হবে কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা।