পেট্রোল-ডিজেলের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম। দিনের-পর-দিন রান্নার গ্যাসের দাম ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী যার ফলে প্রত্যেক মাসেই মধ্যবিত্তের পকেটের টান পড়ছে। আগেকার দিনে স্টোভ অথবা মাটির উনুনে রান্না করার একটা প্রচলন ছিল কিন্তু বর্তমানে রান্নার গ্যাসের সুবিধার জন্য কেউ আর ওই রকম ঝামেলা পোহাতে চায়না।
নির্ঝঞ্ঝাট ভাবে গ্যাসে খুব সহজেই রান্না করে ফেলা সম্ভব হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে দিনের পর দিন যেভাবে রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে চলেছে তাতে আগামী দিনে মধ্যবিত্তদের পকেটের অবস্থা কি হতে চলেছে? চিন্তা নেই কারণ এই প্রতিবেদন আমরা এমন কিছু কথা বলব যেগুলো বাস্তব জীবনে কাজে লাগিয়ে রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও টাকা বাঁচানো সম্ভব হবে।
১.বাড়িতে আমরা সবাই রান্নার জন্য কড়াই অথবা ফ্রাইপেন ব্যবহার করে থাকি এবং কড়াই এবং ফ্রাইপেন গুলি বিভিন্ন মাপের হয়ে থাকে কিন্তু রান্না করার জায়গা যদি বড় হয় তাহলে সেক্ষেত্রে কিন্তু গ্যাস অনেক বেশি লাগে, তাই গ্যাস যদি কম খরচ করতে হয় এক্ষেত্রে রান্নার পরিমাণ বুঝে ছোট ছোট কড়াই অথবা ফ্রাইপেনে রান্না করার অভ্যাস করুন। যার ফলে খুব তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যাবে এবং গ্যাস ও অনেকটা বাঁচবে।
আরো পড়ুন: ঠিক কি কারণে প্রসেনজিৎ ও দেবশ্রীর বিবাহ বি’চ্ছে’দ হয়েছিল?
২. আমরা অনেকেই ফ্রীজ থেকে খাবার বের করে সরাসরি গ্যাসে গরম করার জন্য বসিয়ে দিই, কিন্তু এক্ষেত্রে কিন্তু বেশি খরচ হয় তাই সবসময় চেষ্টা করতে হবে যে ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে রুম টেম্পারেচার এনে তারপরে সেটিকে যদি গ্যাস গরম করার জন্য বসানো যায় তাহলে কিন্তু অনেক অংশে গ্যাস কম লাগে।
৩.বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেদ্ধ করতে গিয়ে অনেক সময় গ্যাসের বেশি খরচ হয়ে যায় সে যদি বাঁচাতে হয় তাহলে অবশ্যই প্রেসার কুকারে সিদ্ধ করার ব্যবস্থা করলে অনেক অংশে গ্যাস কম খরচ হবে। অন্যদিকে রান্না করার জন্য মাঝে মাঝে মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪.অনেক বাড়িতেই বারংবার চা খাওয়ার নিয়ম থেকে থাকে, অথবা স্নান করার জন্য গরম জল করার একটা ব্যাপার থাকে। সে ক্ষেত্রে যদি গ্যাস বাঁচাতে হয় তাহলে যাদের অনেকবার চা খাওয়ার অভ্যাস আছে তারা গরম জল করে ফ্লাক্সে রেখে দিলে সে ক্ষেত্রে গ্যাসটা অনেক কম পুড়বে, অন্যদিকে যদি গরম জলে স্নান করতে হয় তাহলে সেই জলটা রোদে রেখে গরম করে নিয়ে স্নান করলে গ্যাস এই ক্ষেত্রে অনেকটা বাঁচানো সম্ভব হবে।