সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

বেশ কয়েকটি কারণের জন্য মেয়েদের শ্মশানে যাওয়া নি’ষে’ধ! হয়তো শেষেরটিই মূ’ল কারণ

হিন্দু বাড়িতে কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার রীতি আছে শবদাহ করার জন্য। আর তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, পুরুষরাই শ্মশানে যায়, নারীরা যায় না। বলা ভালো তাদের শ্মশানে যেতে দেওয়া হয় না। যদিও যতদিন যাচ্ছে ততই বিভিন্ন মত প্রসঙ্গে ধারণা বদলাচ্ছে মানুষের। শহরাঞ্চলে এখন ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে সকলেই যায় শ্মশানে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন মহিলাদের শ্মশানে যাওয়া বারণ।

১) মৃ’ত’দে’হ নিয়ে শ্ম’শা’নে’র উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যাওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘর পরিষ্কার করতে হয়। কারণ মৃতদেহ থেকে বিভিন্ন রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাছাড়া শ্মশান যাত্রীরা ফেরার পর তাদের উদ্দেশ্যে নিয়ম অনুযায়ী লোহা-আগুন-নিমপাতা এগিয়ে দিতে হয়। এসব কাজের জন্য বাড়িতে অবশ্যই তাদের থাকা প্রয়োজন।

২) আর শ্ম’শা’ন প্রক্রিয়া তো সুখকর নয়, বরং বেশ ভীতকর। এখানে মৃতদেহকে আগুনে পোড়ানোর পাশাপাশি কিছু কিছু ক্ষেত্রে মৃতদেহকে বাঁশের আঘাতে টুকরো টুকরো করতে হয়। এই রকম সব ভয়ংকর দৃশ্য মহিলাদের মতো নরম প্রকৃতির মানুষেরা সহ্য নাও করতে পারেন, তাতে তাদের অসুস্থ হয়ে পড়ারও সম্ভাবনা থাকে, তাই তাদের শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় না।

৩) শাস্ত্র বিজ্ঞানীদের কথায়, শ্ম’শা’নে অশুভ আ’ত্মা’রা থাকে, তারা অনেকেই মোক্ষ পায় না বলে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায়। আর এইসব অশুভ শক্তি বা নেগেটিভ এনার্জির লম্বা কালো চুলের প্রতি আকর্ষণ থাকে। তারা মহিলাদের লক্ষ্য করে তাদের ক্ষতি করতে পারে।

আরো খবর: ব্রাজিলে ছয় সেন্টিমিটার লম্বা লে’জ নিয়ে জ’ন্মা’লো এক শিশুকন্যা!

৪) হিন্দু শাস্ত্র মতে, সমস্ত শ্ম’শা’ন যাত্রীদের মস্তক মু’ণ্ড’ন করতে হয়। মস্তক মুণ্ডন করার অর্থ হল মৃ’ত ব্যক্তির প্রতি শেষ সম্মানজ্ঞাপন, অর্থাৎ পুরুষরা দাহ শেষ করে তাদের চুল নিবেদন করে, কিন্তু মহিলারা তা করতে পারে না। তাই মহিলাদের শ্মশানে যেতে নিষেধ করা হয়।

৫) জীবিত বা মৃ’ত সকল ব্যক্তিকেই হাসিমুখে বিদায় জানাতে হয়। কিন্তু নারীরা কখনোই তার প্রিয়জনের মৃত্যুর পর হাসিমুখে বিদায় দিতে পারে না। বরং তাদের চোখের জল বাঁধ মানে না। তবে শেষ যাত্রায় কারও কান্নায় আত্মা বিচলিত হয়। তখন আর সে এই পৃথিবীর, আপনজনদের মায়া ত্যাগ করে পৃথিবী ছেড়ে যেতে পারে না। তবে মায়ায় আবদ্ধ হয়ে থাকায় এবং মুক্তি না পাওয়ার কষ্টে সে জীবিতদের বারবার ক্ষতি করার চেষ্টা করে। তাই এমনটা হতে না দিতেই নারীদের শ্মশানে যেতে না করা হয়।