সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সিঙ্গুরে বি’পু’ল বিনিয়োগ আসছে, শিল্প গড়ার ল’ক্ষ্যে রাজ্যের কাছে ১০ সংস্থার আবেদন

সিঙ্গুর আন্দোলনের পর থেকেই টাটা সংস্থা চলে যায় এই রাজ্য থেকে। গুজরাটে তারা বড় শিল্প-কারখানা গড়ে তুলেছে। অথচ বাংলা থেকে গিয়েছে ব্রাত্য। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সিঙ্গুরে শিল্প আনা। যারা জমি ফেরত পেয়েছেন সেই জমিতে তারা চাষ করতে পারছেন না। এই নিয়ে এখন রাজনীতির পারদ চড়ছে। সিঙ্গুরে শিল্প গড়তে চেয়ে এবার রাজ্যের কাছে আবেদন করেছে দশটি নতুন সংস্থা।

নবান্নের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে সিঙ্গুরের ৬.৩২ একর জমিতে শিল্প তালুক তৈরি করা হবে। এখানে অন্তত দশটি শিল্প ইউনিটের বিনিয়োগ আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজ্যের ১৩ টি জেলায় শিল্প জগতের সঙ্গে বৈঠক করেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের সচিব রাজেশ পান্ডে। এই বৈঠকে উঠে এসেছে যে রাজ্যের ১৩ টি জেলায় ৩২ টি সরকারি জমিতে শিল্প পার্ক গড়ে উঠবে। এক্ষেত্রে মোট জমির পরিমাণ হল ৪৫৬ একর।

১৩ টি জেলায় ৩২ টি শিল্প তালুকের বিনিয়োগ হতে পারে ছয় হাজার কোটি টাকা। রাজ্যের শিল্প সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বারবার শিল্পপতিদের আশ্বস্ত করে বলেছেন যে রাজ্যে ল্যান্ড ব্যাংক রয়েছে। সেখান থেকে শিল্পের জন্য জমি নেওয়া হবে। বাম আমলের মত আর বন্ধের ঝামেলা থাকবে না বলে তিনি আশ্বাস দেন। শ্রমিকের অভাব নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন। কলকাতার বন্দর রয়েছে কাছেই।

আরো পড়ুন: মহিলাকর্মীদের পছন্দমতো কাজের সময় ও কর্মস্থল বে’ছে নেওয়ার সু’যো’গ দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

পশ্চিমবঙ্গ হলে উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রবেশদ্বার। গোটা রাজ্যটিই শিল্প তৈরির জন্য অত্যন্ত আদর্শ জায়গা বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তারপরেও বড় কোন শিল্প-সংস্থা এখানে আসেনি।

সম্প্রতি কামারকুন্ডুতে রেল ব্রিজের উদ্বোধন করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন আপনারা জমি ফেরত পেয়েছেন। এখন এখানে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। একদিকে থাকবে সবুজ জমি, অন্যদিকে শিল্প। সিঙ্গুরে কৃষিভিত্তিক শিল্পের কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।