সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

পরপুরুষ থেকে গ’র্ভ’ব’তী সব বি’ষ’য়ে খোলামেলা আলোচনা সামান্থার, ডিভোর্সের পর মু’খ খুললেন অভিনেত্রী

বিগত চার বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেন দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তারকা জুটি সামান্থা আক্কিনেনি ও নাগা চৈতন্য। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নিজেদের বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করলেন তারা। গত সপ্তাহের শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দুজনের ভিন্ন পোস্টই তার প্রমাণ। সামনেই ছিল তাদের চতুর্থ বিবাহবার্ষিকী। আর ঠিক তার আগেই বহুদিনের চলতে থাকা গুঞ্জনকে সত্যি করে দিলেন তারকা জুটি। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নেটমহলে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। এই ব্যাপারে নাগার্জুন পুত্র চৈতন্য লিখেছেন যে অনেক আলোচনা এবং চিন্তাভাবনার পর তিনি এবং তার প্রাক্তন স্ত্রী সামান্থা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের সম্পর্কের বয়স এক দশকেরও বেশি। তাদের বন্ধুত্ব বরাবরই ভীষণ গাঢ় ছিল। তিনি আশা রাখছেন, বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি ঘটলেও তাদের বন্ধুত্বই তাদের মধ্যে এক বিশেষ সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখবে।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে সামান্থার নামে নানারকম গুজব। যদিও এ ঘটনাতে সেভাবে অবাক হওয়ার বিশেষ কোনো কারণ নেই। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকা জুটি – সম্পর্কের বাঁধন আলগা হলেই শুরু হয়ে যায় নানা সমালোচনা। আর তাতে শুধু একটু রং চড়িয়ে দেওয়ার অপেক্ষা। শোনা যায়, চৈতন্যের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন সামান্থা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এছাড়াও চৈতন্যের সাথে সম্পর্ককে খুব বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাননা বলে তিনি নাকি গর্ভপাতও করিয়েছিলেন। এরপরেই শুরু হয় সামান্থার দাম্পত্যে দূরত্ব বৃদ্ধি। অবশেষে এই সমস্ত বিতর্কের পর আর চুপ থাকতে পারেননি অভিনেত্রী, শেষমেষ এই সব বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন।

সামান্থা প্রথমত তার অনুগামীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তার এই ব্যক্তিগত কঠিন পরিস্থিতিতে তার পাশে থাকার জন্য এবং তাকে একই ভাবে ভালোবেসে যাওয়ার জন্য এবং তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, “আমার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে উদ্বেগ প্রকাশের জন্য এবং মিথ্যা গুজবের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। অনেকেই বলছেন, আমার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। আমি নাকি কখনও সন্তান চাইনি। আমি স্বার্থপর। এমনকী এও বলতে ছাড়েননি যে, আমি নাকি গর্ভপাত করিয়েছি। কিন্তু যে কোনো বিচ্ছেদই ভীষণ কষ্টদায়ক। আমি তার ব্যতিক্রম নই। এই কঠিন ক্ষত সারিয়ে উঠতে আমার বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। তাই আমাকে নিজের মত ছেড়ে দিন। আমার ওপর অযথা আক্রমণ করে কোনো লাভ হবে না।”