সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভারত-চীন সীমান্তে চূ’ড়া’ন্ত উ’ত্তে’জ’না, স’ত’র্ক’তা জা’রি উত্তরবঙ্গ জু’ড়ে, অসমে চলছে বা’ড়’তি নজরদারি

আর কোন বিদেশী শক্তি ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারবেনা হুঁশিয়ারি দিয়ে দিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত তাওয়াং এ অতর্কিত আক্রমণ চালিয়েছিল চিনা বাহিনী। এবার সেই সংঘর্ষে জেরে এক চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হল উত্তরবঙ্গে। নজরদারি রয়েছে পূর্বাঞ্চলের রাজ্য অসমেও। প্রসঙ্গত ২০২০ সালে গালোয়ান সংঘর্ষের সময় চীনা লাল ফৌজকে কড়া জবাব দিয়েছিল ভারত।

তবে সেই জবাব থেকেও শিক্ষা গ্রহণ করেনি চীন। অরুণাচল সীমান্তের বেশ কিছুটা অংশ নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে চীন। তাই আবারও আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ভারতের উপর হামলা শানিয়েছিল তারা। তাদের দাবি ছিল ইয়াংৎসের ভারতীয় সেনাঘাঁটি অবিলম্বে সরিয়ে দিতে হবে।

সেই মতো ৩০০ চীনা বাহিনী নিয়ে রণাঙ্গনে নেমে পড়েছিল তারা। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত দিয়ে ভারতকে আক্রমণ করে। সেই আক্রমণ কড়া হাতে প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে লড়াই জারি রয়েছে। জানা গিয়েছে আগামী ১৫ ও ১৬ ই ডিসেম্বর অসম ও অরুণাচল সীমান্ত এলাকায় বিস্তীর্ণ এলাকায় জারি করা হবে নো ফ্লাইং জোন।

আরো খবর: নতুন করে তৈ’রি হ’চ্ছে ঘূর্ণাবর্ত, আগামী কিছুদিন বাংলায় কি প্র’ভা’ব প’ড়’বে?

রাফাল সুখই ৩০ এবং তেজস লাইট যুদ্ধবিমান টহল দেবে গোটা অঞ্চল জুড়ে। শিলিগুড়ির হাসিমারা থেকে তেজপুর বিমান ঘাঁটির মধ্যে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে কয়েকটি যুদ্ধবিমান। চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে বায়ু সেনাঘাঁটিতে। তাওয়াং ও চাম্বা উপত্যকা ভারতের জন্য স্পর্শকাতর এলাকা। এই অঞ্চল দুটিতেই সেনাবাহিনীর কার্যক্ষমতা ও প্রশংসনীয়। তাওয়াং সীমান্ত থেকে ভুটানের উপর নজরদারি চালায় ভারত। আর চাম্বা থেকে নেপাল সীমান্ত।

এদিকে চীনের দাবি অরুণাচলের একটা বড় অংশ তাদের হেফাজতে। এই কারণে অরুণাচলকে তারা দক্ষিণ তিব্বত বলে আখ্যায়িত করে। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সম্মুখ সমরে অবস্থান করছে ভারত ও চীন। এই প্রথম নয় গত ৩০ বছর ধরেই এমন অবস্থা জারি রয়েছে। এর মধ্যে আবার অরুণাচল নিয়ে সংঘাত।

জানা গিয়েছে বিশেষ অস্ত্র এবং লাঠি নিয়ে চীনের সেনাবাহিনী হামলা চালিয়েছিল ইয়াংৎসে ঘাঁটিতে। যদিও এই হামলার মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ছিল ভারত। অতন্দ্র প্রহরীর মতো আজও চীনা বাহিনীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।