সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ভারতীয় রেলের এক্সট্রা ইনকাম, বলিউড থেকে ভা’ড়া বাবদ বছরে আ’য় ৩ কোটি

কোনো ছবি তৈরী হওয়ার আগে খুব ভালোভাবে গল্প সাজাতে হয়। তারপর শ্যুটিং-এর জন্য স্থান-কাল-পাত্র নির্বাচন করেন পরিচালকরা। সিনেমায় থাকা নানান গানের দৃশ্য শ্যুটিং করার জন্য বেশিরভাগ সময়ই ছবির গোটা টিম পাড়ি দেয় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

এমনকি স্টুডিয়োতে সিনেমার বেশ কিছু সিনের জন্য এত নিখুঁত ভাবে সেট তৈরি করা হয় যা দেখে মুগ্ধ হন দর্শকরা। অনেক সময় সিনের সৌন্দর্যতার জন্য সিনেমার গল্প মনে না থাকলেও দৃশ্যগুলি যেন মনে গাঁথা হয়ে যায়।

সিনেমাতে অনেক দৃশ্য ট্রেনের কামরা বা স্টেশনে শ্যুট করতে দেখা যায়। যেমন – ১৯৬৬ সালে ‘নায়ক’ সিনেমার অধিকাংশ দৃশ্যে দেখা যায় ট্রেনের একটি কামরায় বসে উত্তম কুমার এবং শর্মিলা ঠাকুরের কথোপকথন।

আবার বলিউডে ‘দিল সে’ ছবিতে ট্রেনের ছাদের উপর শাহরুখ-মালাইকার নাচের দৃশ্য। অন্যদিকে ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’র শেষ দৃশ্য— সিনেমার এক একটি দৃশ্য যেন নজির সৃষ্টি করেছে।

আরো পড়ুন: প্রচুর সম্পত্তির মালকিন মাধুরী! পরিমাণ জা’ন’লে হোঁ’চ’ট খাবেন

অন্যদিকে ১৯৬৯ সালে মুক্তি পাওয়া বিখ্যাত ছবি ‘আরাধনা’-তে কিশোর কুমারের কণ্ঠে সেই অবিস্মরণীয় গান “মেরে সপনো কি রানি”-এতেও দার্জিলিং টয় ট্রেনের দৃশ্য সিনেমার পর্দায় ফুটে ওঠে।

এছাড়া বলিউডের অনেক ছবিতে ট্রেনের কামরা অথবা রেলস্টেশন দেখানো হয়েছে যেমন – ‘কুলি’, ‘বীর জারা’, ‘শোলে’, ‘গদর: এক প্রেম কথা’, ‘দ্য বার্নিং ট্রেন’, ‘ইয়ে জওয়ানি হে দিওয়ানি’ ‘বাগবান’, ‘এমএস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’, ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, ইত্যাদি।

অনেক সময় স্টুডিয়োয় রেলস্টেশনের নকল সেট তৈরি করা হয়। তবে বেশিরভাগ সময়ে বহু সিনেমার শ্যুটিং হয়েছে দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে। তাই বলিউড ইন্ডাস্ট্রি থেকে বছর বছর মোটা অঙ্কের টাকা উপার্জন করে ভারতীয় রেল। ২০২১-২২ অর্থবর্ষেই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মাত্র একটি ছবি থেকেই ভারতীয় রেল উপার্জন করেছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা।

কিরণ রাও তাঁর পরবর্তী ছবির জন্য ভারতীয় রেলকে মোট এক কোটি ২৭ লক্ষ টাকা দেন। ছবির প্রযোজনা-সহযোগী অমিত কুলকার্নি এ প্রসঙ্গে বলেন, ছবির কাজ শেষ করতে সময় লেগেছিল ৪৮ থেকে ৫০ দিন। টানা ২৪ দিন ধরে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন রেলস্টেশনে এই ছবির শ্যুটিং হয়েছে।

‘ধোবি ঘাট’ ছবির বিশ্বব্যাপী সাফল্যের পর কিরণ রাও পরিচালিত ‘টু ব্রাইডস’ ছবিটি এই বছরেই মুক্তি পেতে চলেছে। এই ছবিতেও আমির খানকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে বলে খবর।

সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের শ্যুটিংয়ের জন্য আগে থেকে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয় রেল বোর্ডের সঙ্গে ফিল্ম ফ্যাসিলিটেশন অফিসের সহযোগিতায় একটি ওয়েব পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে।

এই পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন জমা করা হয়। এটাই বর্তমান পদ্ধতি। তবে এর আগে রেলস্টেশনে শ্যুট করার অনুমতি নিতে গেলে ১৭ জন আঞ্চলিক মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের কাছে আবেদন জানাতে হত।

এছাড়া ডকুমেন্টারি, মিউজিক ভিডিও বা বিজ্ঞাপনের শ্যুটিংয়ের অনুমতি নিতে হলে প্রযোজকদের এখনও অফলাইন প্রক্রিয়াতেই আবেদন জানাতে হয়। সিপিআরও দফতরে লিখিত আবেদন জানানোর পর প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই করে পর দফতর থেকে শ্যুটিং করার অনুমতি মেলে।