গত এক বছরে মৃত কৃষকদের পরিবারকে কৃষি দপ্তর ৪০০ কোটি টাকা দিতে চলেছে কৃষি দপ্তর। ডেথ বেনিফিট খাতে এই টাকা দেওয়া হল। কৃষকদের সাহায্য করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষক বন্ধু প্রকল্প চালু করেছে।
এই প্রকল্পের অধীনে কোন কৃষক যদি আচমকা প্রয়াত হয়ে যান, তারপরে তার পরিবার যাতে অসহায় না হয়ে পড়ে সেই ভাবনা থেকে চালু করা হয়েছে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ডেথ বেনিফিট। এই প্রকল্পের অধীনে এখনো পর্যন্ত উপকৃত হয়েছে প্রায় ২০ হাজারের বেশি কৃষক পরিবার।
২০১৯ সালে কৃষক বন্ধু প্রকল্প টি চালু করেছিল কৃষি দপ্তর। এই প্রকল্প চালু করার পর থেকে কোন কৃষকের মৃত্যু হলে তার পরিবারকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা সরকারি সাহায্য দেওয়া হয় সরকারের তরফ থেকে।
আরো পড়ুন: ইউক্রেনে লড়াইয়ের মধ্যেই রুশ জওয়ান কাঁ’দ’ছে’ন, র’ই’লো আবেগঘন ভিডিও
তবে এই টাকা পেতে গেলে কি সব পরিবারকে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি সেই শর্ত। প্রয়াত কৃষকের নামে জমি থাকতে হবে। মৃত্যুর সময় কৃষকের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
স্থানীয় বিডিও অফিস মারফত আবেদন করতে হবে পরিবারকে। মহাকুমা স্টোর থেকে কৃষক পরিবারের দায়িত্ব প্রাপ্ত কোন ব্যক্তি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
তবে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জেলায় ডেথ বেনিফিট পাওয়ার আবেদন অনেক ত্রুটি পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়েছে কৃষি দপ্তর এর তরফ থেকে। এই প্রকল্প চালু হবার আগে প্রয়াত বেশকিছু কৃষক পরিবার আবেদন জমা দিয়েছিল।
ব্লক স্তরে যাচাই করতে গিয়ে এই ত্রুটি ধরা পড়ে তাই সে সমস্ত আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর যাতে কোনো ভুল না হয় সে বিষয়ে কৃষি দপ্তর সজাগ থাকতে বলেছেন জেলার কৃষি আধিকারিকদের।
কৃষি দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরে ২৭০০ বেশি কিছু কৃষক পরিবার এই খাতে টাকা পেয়েছে। এছাড়াও মালদহ মুর্শিদাবাদ এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ২ হাজার কৃষক পরিবার অর্থসহায়তা পেয়েছে এই খাতে।
