সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

সত্যিই কি রামসেতু নি’র্মা’ণ হয়েছিলো? নাকি প্র’কৃ’তি’র কোনো বি’স্ম’য়?

রামায়ণে আমরা সীতাদেবীকে উদ্ধার করতে রামচন্দ্র ও তাঁর বানোর বাহিনীর লঙ্কায় যাওয়ার যে গল্প আমরা পাই তাতে আমরা দেখেছি যে, রামচন্দ্র লঙ্কায় যাওয়ার জন্য সমুদ্র কিভাবে পর হবেন ভাবতে থাকেন, সমুদ্রকে জিজ্ঞেস করেন কিভাবে যাবেন তিনি? আর সমাধানে সমুদ্র বানর কারিগর নল-কে সমুদ্রের উপর সেতু তৈরির নির্দেশ দিলেন তিনি। সেই সেতু নাকি হবে পাথরের তৈরি। প্রতিটা পাথরে রাম লিখে জলে ভাসতে হবে। আর সেই পাথর সমুদ্র সেই পাথর ভাসিয়েই রাখবে।

আর সেই ভাসমান পাথরের পথ দিয়ে হেঁটে লঙ্কা পৌঁছবে রাম-লক্ষ্ণণ, সুগ্রীব, হনুমান, জাম্বুবানরা। পৌরাণিক সেই সেতু আজও নাকি ভারত মহাসাগরের জলে ভাসমান। আর সেটি বিখ্যাত রাম সেতু নামে। এই সেতু তামিলনাড়ুর পামবান দ্বীপের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার মান্নার দ্বীপকে সংযুক্ত করেছে। কিন্তু সত্যিই কি এই সেতুটি বানর আর ভল্লুকের দল নির্মাণ করেছিল? পুরাণ মতে নলের তত্ত্বাবধানে রাম নাম লেখা পাথর নিয়ে সমুদ্রের উপর ছুঁড়ে ফেলেছিল বানরবাহিনী।

কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞের মতে এই সেতু নাকি প্রাকৃতিক উপায়ে নির্মিত। ওই সেতুকে অনেকে অনেক নামে জানেন। কেউ বলেন রাম সেতু, কেও বলেন আদম সেতু, আবার কেউ কেউ নল সেতুও বলেন। নল সেতু বলার একটাই কারণ পুরান মতে বানরদের কারিগর বানর নল এই সেতু নির্মাণ করেন তাই এটা নল সেতু নামে পরিচিত।

তবে বিজ্ঞানীরা এই সেতুকে প্রাকিতিক ভাবে তৈরি সেতু বলে মনে করেন। কার্বন পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, রামায়ণের সময় (৫০০০ খ্রিস্টপূর্ব) এবং সেতুর কার্বন বিশ্লেষণ পুরোপুরি মিলে যায়। তবে হ্যাঁ, সেতুটি যে মানবসৃষ্ট তার কোনোও বৈজ্ঞানিক প্রাণ আজও মেলেনি। ১৫ শতক পর্যন্ত, এউ সেতু পায়ে হেঁটেই অতিক্রম করা যেত। রেকর্ড অনুযায়ী, ১৪৮০ সাল নাগাদ পর্যন্ত সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরে এই সেতুটি সম্পূর্ণভাবে ছিল।

তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সেতুটি পুরোপুরি সমু্দ্রের জলে তলিয়ে যায়। এই কারণেই বলা হয় যে রাম সেতুটি নাকি চুনাপাথরের তৈরি ছিল। তবে এখনও ওখানের অনেকেরই বিশ্বাস এটা ভগবান রামের সময়ই তৈরি। কারণ পুরাণে বর্ণিত ওই সমুদ্রের উপরে যে পাথর গুলিকে শ্রী রাম লিখে ভাসানো হয়েছিলো ওই পাথরগুলি আজও ভাসমান অবস্থাতেই আছে। এবং রামেশ্বরমের অনেক স্থানেই এরকম ভাসমান পাথর দেখতে পাওয়া যায়। আর তাই ওখানের লোকরা যারা পুরান মানেন তারা মনে করেন ভগবান রামের নাম লেখার জন্যই ওই পাথর ডুবে না।