সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

এমনিতেই ও’মি’ক্র’নে ঘু’ম উড়েছে সকলের, এবার ন’য়া উপজাতির হদিশ মিললো, যা অত্যন্ত ছোঁ’য়া’চে

করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট আসার পরে গোটা ভারত জুড়ে এখন করোনা সংক্রমনের দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে। বলা যায় এক প্রকার সংক্রমণ শুরু হয়েছে তারই মধ্যে ওমিক্রনের থেকে এককাঠি ওপরে নতুন একটি উপ-প্রজাতির সাক্ষাৎ পাওয়া গেল। এই নতুন উপ-প্রজাতির নাম দেওয়া হয়েছে BA.1. বিজ্ঞানীরা এই গবেষণা করেই নতুন ভাইরাসটির নাম নির্ধারণ করেছেন। তাঁরা দাবি করেছেন যে মহারাষ্ট্র করোনা মহামারীর একটি নতুন ভেরিয়েন্টের দেখা পাওয়া গেছে এবং যেটা ইতিমধ্যেই বেশ কিছু দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

এই নতুন প্রজাতি জায়গা নিচ্ছে ডেল্টা ভেরিয়েন্টার। তত্ত্বের ভিত্তিতে জানানো হয়েছে যে এই নতুন উপপ্রজাতিটি যথেষ্ট ছোঁয়াচে এবং এর কারণেই দ্রুতভাবে সংক্রমণ গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। নতুন উপ-প্রজাতির সংক্রমণে উপসর্গ তেমন কিছু নেই তবে অসুস্থতাও বেশ কম, এর জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা করার কোনই প্রয়োজন নেই বলে জানানো হয়েছে তবে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ছাড়াও আরও তিনটি সাব লিনিয়েজ এর নতুন তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

BA.1,BA.2,BA.3। গোটা দেশে একদিকে কোভিড সংক্রমণ দ্রুত হারে বাড়ছে এবং ইতিমধ্যে শুধু মাত্র ৫ থেকে ১০% কোভিড রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন চিকিৎসার জন্য, তবে মনে করা হচ্ছে যে যেভাবে সংক্রমণের হাত দ্রুত হারে বাড়ছে তার ফলে এই চিত্রটা কিছুটা হলেও বদলে যেতে পারে ভবিষ্যতে।

এ গোটা ব্যাপারটি সম্পর্কে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজেশ ভূষণ। তিনি জানান যে করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ওয়েবে রোগীরা যেভাবে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছিল তা অনেক বেশি শতাংশ তবে সোমবার দিন নতুন করে ১,৭৯৭২৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে এবং এর মধ্যে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৭,২৩৬২৯ জন।

প্রত্যেকদিনই পজিটিভ বেরোচ্ছে ১৩.২৯ শতাংশ করে। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিষয়ে একটি আশার আলো দেখিয়েছে আইআইটি কানপুরের গণিত এবং কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক মনিন্দ্র আগারওয়াল তিনি জানান, এবছরের মার্চ মাসেই কবিরের তৃতীয় ঢেউ এর প্রকোপ একদমই কমে যাবে তবে অন্যদিকে দিল্লি এবং মুম্বাইতে যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে সেটাও নাকি হ্রাস পাবে খুব তাড়াতাড়ি।