টিকটকাররা নিজেদের ভিডিও শ্যুট করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান। অনেক সময় এমন অনেক কিছুর সন্ধান তারা পান যা হয়তো তাদের ভাবনারও অতীত থাকে। এমনই এক ভিডিও ধরা পড়েছে নেট দুনিয়ায়। জোয়েল মরিসন নামে এক টিকটকার পুরোনো একটি করবখানায় ঘুরছিলেন হয়তো নিজের ভিডিও শ্যুট করার জন্য। সময়টা দিনের বেলাই ছিল, কিন্তু জায়গাটা বেশ শুনশান এবং গা ছমছমে ছিল। তিনি সেখানে ছবি তুলছিলেন। এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎই শতাব্দিপ্রাচীন একটি কংক্রিটের কবরে হোঁচট খান। নীচে তাকাতেই রীতিমতো চমকে ওঠেন তিনি।
কিন্তু তিনি চমকে উঠলেন কেন তা নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে। নীচের দিকে তাকিয়ে তিনি দেখেন, কবরটি বেশ পুরোনো। তবুও তার ফাটল দিয়ে বেরিয়ে আছে এক গোছা চুল। কিন্তু শতাব্দীপ্রাচীন ওই কবরের ভিতর থেকে ওই চুল কিভাবে বেরিয়ে আসল তা বুঝে উঠতে পারেনি মরিসন। তাই তিনি চমকে উঠেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, শতাব্দীপ্রাচীন কবর হলেও দেখে মনে হচ্ছিল সদ্য কোনও মহিলাকে সেখানে কবর দেওয়া হয়েছে।
মরিসন সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সাথে সাথেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ইতিমধ্যে পোস্টটিকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে গিয়েছে নানান জল্পনা। কী ভাবে ওই চুল বেরিয়ে এল? শতাব্দীপ্রাচীন কবর হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবেই বা অক্ষত অবস্থায় রয়েছে সেই চুল? ইত্যাদি নানা প্রশ্ন তুলেছেন নেট নাগরিকরা।
তবে ওই কবরস্থান বহু পুরনো হওয়ায় কংক্রিটের বহু কবরে ফাটল ধরেছে। সেই ফাটলগুলিতে আবার নানা রকম আগাছাও জন্মেছে। কিন্তু এভাবে কবর থেকে কোনও মৃতদেহের চুল বেরিয়ে আসায় অনেকেই হতবাক হয়েছেন। কেউ আবার এই আবহকে ‘নাইট অব দ্য লিভিং ডেড’ ছবির সঙ্গে তুলনা করেছেন। কেউ কেউ রসিকতা করে বলেছেন, ‘চুল টেনে দেখতে পারতেন মরিসন!’
সূত্রের খবর, ওই চুল সম্বন্ধে মরিসন কবরস্থানের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। মরিসনের কথায়, সেই ব্যক্তি এই রহস্য উন্মোচনের ব্যাপারে কোনো আগ্রহই দেখাননি। তিনি অবশ্য দাবিও করেছেন, ওই কবরের সামনে গিয়ে কোনো চুলই তিনি দেখতে পাননি।