সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দেশের ধনীতম ব্য’ক্তি হলেও পছন্দের খাবার একদম খে’তে পা’ন না মুকেশ আম্বানি, রইলো খা’দ্য তা’লি’কা

ভারত তথা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় মুকেশ আম্বানির নাম জ্বলজ্বল করে। এ দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি তিনি। তিনি বর্তমানে এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি। প্রথম স্থানে আছেন গৌতম আদানি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ তম স্থানে রয়েছেন ভারতের এই বিত্তবান পুরুষ। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর কর্নধার হলেন মুকেশ আম্বানি। ২০২২-এর এপ্রিল মাসের হিসেবে তাঁর মোট সম্পত্তির মূল্য ১০১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মুকেশ আম্বানি সহ তার পরিবার প্রায়ই তাদের ব্যবসা, বিলাসবহুল লাইফস্টাইল ইত্যাদি কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। বিশেষ করে মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নিতা আম্বানি এ সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাপক আলোচনার শিকার। সবচেয়ে দামি বাড়ি থেকে শুরু করে সবচেয়ে দামি গাড়ি পর্যন্ত আম্বানি পরিবারের কাছে সবকিছুই রয়েছে। আম্বানিদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল মুম্বাই-এ অবস্থিত সুন্দরঢ় লাক্সারি বিশাল বাসভবন, যার নাম অ্যান্টিলা। ২৭ তলা এই অট্টালিকাটি গোটা বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম ব্যক্তিগত বাসভবন।

ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হওয়ার কারণে তাই সাধারণ মানুষ তাঁর সম্বন্ধে এই ধারণা রাখে যে তাঁর খাবারের তালিকায় প্রতিদিনই লাক্সারি খাবার থাকে। তবে এই ধারণা একেবারেই ভুল। জানা গেছে মুকেশ আম্বানির জীবনযাপন খুব সাধারণ প্রকৃতির। খাবারের প্রসঙ্গে তিনি খুব স্ট্রিক ডায়েট ফলো করেন। সকালেই তিনি খান তাজা পেঁপের রস। এই পেঁপের রস খাওয়ার অভ্যাস তিনি তার বাবার থেকে পেয়েছেন। আর দিনের বাকি সময় স্যুপ এবং স্যালাডেই পেট ভরান।

আরো খবর: ভু’ল করে অন্য UPI Account-এ টা’কা পা’ঠি’য়ে দিয়েছেন? কিভাবে ফে’র’ত পাবেন দেখে নিন

লাঞ্চ ও ডিনার ইত্যাদিতে গুজরাটি খাবারই তাঁর বেশি পছন্দের। এছাড়া বাড়িতে তৈরী রুটি, ডাল, তরকারি ইত্যাদি খেতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন মুকেশ আম্বানি। নিরামিষ ভোজী হওয়ার কারণে তিনি মাছ-মাংস জাতীয় কোনো খাবার খান না। গুজরাটি খাবারের পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতীয় বিভিন্ন খাবারও মুকেশ আম্বানীর খুব পছন্দের। বাইরের খাবারের মধ্যে তাঁর পছন্দের তালিকায় রয়েছে তাজ কোলাবার চাট, স্বাতী স্নাক্সের পানাকি এবং মাইসোর ক্যাফে মাটুংগা থেকে ইডলি-সাম্বার।

যদিও তিনি ঘরের খাবার খেতেই পছন্দ করেন, তবুও সপ্তাহের একটা দিন বরাদ্দ রাখেন বাইরের খাবার খাওয়ার জন্য। আর সেদিন সপরিবারে মুকেশ আম্বানি যান কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে। বাড়িতে রান্নার কাজের জন্য দেশ-বিদেশের নামি দামি সেফদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে মুকেশ আম্বানি এনে রেখেছেন নিজের বাড়িতে। আর তাদের সব মাসিক মাইনে দুই লাখেরও বেশি। তাছাড়া মুকেশ আম্বানির বাড়িতে যে ৬০০ জন কর্মচারী কাজ করেন তাদের প্রত্যেকের মাসিক মাইনে প্রায় লাখ লাখ টাকা যা কর্পোরেট সংস্থার কর্মচারীদের তুলনায় অনেক বেশি।