সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

ডিজিটাল যুগেও রাস্তার মো’ড়ে মো’ড়ে “বইঘর”, জানুন দেশের এই বইগ্রামের বিশেষ ক’থা

আমাদের দেশে বিভিন্ন স্থানে অনেক বই মেলার আয়জন করা হয়। বই এমন এক মুলবান জিনিস যা আমদের চিন্তা ভাবনাকে উন্নত করে ।এবং জ্ঞানের সীমা বিস্তার করে।বই পিপাসু মানুষের কাছে বই মেলা এক মাত্রা এনে দেয়।

বই হতে পারে অবসর সময় এর সঙ্গী। আধুনিক যুগে ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রের চাপে কোথাও হারিয়ে গেছে সেই সাহিত্য সুখ। এখন মানুষ মোবাইল কে তার জীবন যাপনের সঙ্গী করে নিয়েছে।কিন্তু কিছু উদাহরন আমাদের এই ভ্রান্ত ধারনাকে ভেঙ্গে দেয়। কেরলের এক ছোট গ্রাম ।নাম পেরুমকুলম।

১৯৪৮ সালে ৩০জানুয়ারি প্রান হারান গান্ধিজি।সারা ভারতে নেমে আসে দুঃখের ছায়া। ভারতবাসির শোক কাটাতে ও গান্ধিজির স্মরণে ঠিক সেই সময় কেরলের কিছু যুবক দেশ নায়ককে শ্রদ্ধা দান করার জন্য এক উপায় বের করেন।সেই গ্রামের কৃষ্ণ পিল্লাই ও আরও কিছু যুবক বই কিনে ফেললেন ।

আরো পড়ুন: ইউক্রেন ইস্যুতে ফে’র রাশিয়ার পাশেই, রাষ্ট্রসংঘে ভোটদান থে’কে দূ’রে থা’ক’লো ভারত

এছাড়াও গ্রাম বাসীদের কাছে কিছুবই সংগ্রহ করে সেই বই রাখা হয় পিল্লাই পরিবারের একটি ঘরে ।এভাবেই উদ ঘাটন ঘটে সেই গ্রামের প্রথম গ্রন্থাগার । নাম দেওয়া হয় বাপুজি মেমরিয়াল লাইব্রেরি। এটি সবে সূচনা মাত্র ।এরপর একেই আদর্শ করে আজকের নবিন প্রজন্মের যুবকরা গ্রামের রাস্তার মোড়ে মোড়ে গড়ে তুলল ছোট ছোট ঘর।

ঘর গুলি দেখতে ডাক ঘরের মত।বই গুলিকে বৃষ্টি থেকে রক্ষা করার জন্য দেওয়া হল আবরন এবং ঘর গুলি মজবুত কাঠের দ্বারা তৈরি করা হল। গ্রামবাসীরা সেই ঘর থেকে নিজের পছন্দের বই নিয়ে পরে আবার সেখানেই রেখে দেয়। এক একটি ঘরে রাখা হয় ৫০ টি করে বই এবং এটি সম্পূর্ণ বিনা মূলের পরিষেবা ।

কেরলের পাশাপাশি মহারাষ্ট্রে ভিলহারেও তৈরি হয়েছে বই গ্রাম। আসলে এই যুগে থেকেও এখানের যুবকেরা উপলব্ধি করতে পেরেছে বই হল সভ্যতার রক্ষা কবজ। বিনোদন থেকে শিক্ষা , অবসর যাপন থেকে নিঃসঙ্গতা সবেতেই বই অবলম্বন হয়ে উঠতে পারে তা বুঝতে পেরেছে এই গ্রামের যুবকেরা।