সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

দাদুর নাতনির প্র’তি ভালোবাসা, পড়াশোনার খরচ চা’লা’তে বাড়ি বি’ক্রি করে অটোকেই ঘর বা’নি’য়ে’ছেন বৃদ্ধ

সন্তানের কাছে মা বাবা বটবৃক্ষ স্বরূপ। তাদের ভালোবাসা যেমন আমাদের মুগ্ধ করে তেমনি তাদের শাসন আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনের পথ সুদূঢ় করে। নিজের শখ বাসনা পরিত্যাগ করে শুধুমাত্র সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে। একদিকে মা বাবা অন্যদিকে দাদু ঠাকুমা নিজেদের প্রতিটি রক্ত বিন্দু দিয়ে আমাদের রক্ষা করেন।

এসব ছবি আরও জ্বলন্ত হয়ে ওঠে যখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এমন উদাহরণ দেখতে পারি। মুম্বাইয়ের বয়স ৭০ এর এক বৃদ্ধের জীবনকাহিনি শুনলে চোখে জল ভেসে ওঠে। বছর ৬ আগে বড় সন্তানকে এক দূর্ঘটনায় হারিয়ে ফেলেন। এরপরই বৃদ্ধের জীবনে নেমে আসে একের পর এক প্রতিকূল পরিস্থিতি।

বড়ছেলের সন্তানদের দায়িত্ব ভার এসে পড়ে তার মাথায়। তবে এখানেই শেষ নয়, বছর ২ এর পর তার ছোট ছেলে ট্রেনের নিচে সুইসাইড করে। ৭ জনের সংসার নিয়ে বৃদ্ধ দেসরাজের শেষজীবনে শুরু হয় তার সংগ্রাম। ভোর ৬ টায় অটো নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন, রাত ১২ টায় ফিরতেন। মাসের শেষে আয় হত ১০ হাজার।

আরো পড়ুন: এক সময় চপ বি’ক্রি করতেন! এখন বাংলার প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা সুপ্রিয় দত্ত

যা আয় করতেন সব ই পড়াশোনার পিছনে চলে যেত। নাতিনাতনি দের নিয়ে তার সংসারে যেন নুন আনতে পান্তা ফুরায়।শেষে নাতিনাতনি দের জন্য নিজের আশ্রয় টুকুই বিক্রি করলেন। তবে কথায় আছে কিছু ভালো হবার জন্য কিছু হারাতে হয়। মানুষকে দুঃখের দিন দেখতে হয় সুখের দিনের আশায়।

তার হাড়হিম করা সেদিন জিতে গেল যেদিন তার নাতনি উচ্চমাধ্যমিকে ৮০ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করল। ভবিষ্যতে উচ্চ পড়াশোনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তার নাতনি। সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে তার নাতনিকে পড়াশোনা করাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস একদিন তার মুখ সারা দেশের কাছে উজ্জ্বল হবে।