সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

রাত ১০ টার মধ্যে ঘু’মো’লে ঝুঁ’কি অনেকটা ক’মে যা’য় হৃদরোগের, ব’ল’ছে গবেষকরা

ইংরাজীতে একটা কথা আছে জানেন তো! “Early to bed and early to rise, makes a man healthy, wealthy and wise”। Benjamin Franklin এই বক্তব্য এবার একটি গবেষণার মাধ্যমে সত্য হতে চলেছে। গবেষণায় উঠে এসেছে এমন এক তথ্য যেখানে বলা হয়েছে কোনো মানুষ যদি রোজ রাত ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে তার হৃৎপিন্ড ভালো থাকে, তার হৃদরোগের ঝুঁকি কমে, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। অর্থাৎ এককথায় তিনি সুস্থ থাকেন।

কিন্তু, ক’জন মানুষ রাত ১০ টায় ঘুমোতে যান বলুন তো! রাত ১২টা না বাজলে বিছানায় যাওয়ার মন করে না অনেকেরই। আবার এখন সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কোনও কোনও দিন ঘুমোতে ঘুমোতে কখন যে মধ্যরাত পার হয়ে যায় সেই খেয়াল রাখেন না অনেকেই। শুধু তাই নয়, অনেকে রাত জাগতে পছন্দ করেন। কেউ বা রাত জেগে কাজও করেন।

সেই সাথে গান শোনা, সিনেমা দেখা এসব তো আছেই। তবে এভাবে দিনের পর দিন রাত জাগা স্বাস্থ্যের জন্য যে একেবারেই ভালো নয় সম্প্রতি সেই গবেষণায় উঠে এসেছে এই ইঙ্গিত।  যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাংকের একটি গবেষক দল ৮৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এই গবেষণাটি চালায়।

স্বেচ্ছাসেবকদের প্রত্যেককে একটি করে হাতঘড়ির মতো ডিভাইস পরিয়ে দেওয়া হয়। এই ডিভাইস তাঁদের ঘুমোতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার তথ্য নিয়েছে। গবেষকদের বক্তব্য, “তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাস ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম আমাদের ‘বডি ক্লক’-এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।

আরো পড়ুন: বকাবকি কে’ন করলে? ফ্রাই প্যা’ন দিয়ে মাকে মে’রে ফেললেন মেয়ে!

এই অভ্যাস হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও কমায়, এমনকি স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমিয়ে দেয়। দেরিতে ঘুমের জন্য মানুষের শরীরের ২৪ ঘণ্টার ‘ বডি ক্লকে’ ব্যাঘাত ঘটলে রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হয়।” গবেষণায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের বয়স, ওজন, শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বিবেচনার মধ্যেও নেওয়া হয়।

তবে স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা গিয়েছে, তিন হাজারেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক স্বেচ্ছাসেবক বিভিন্ন মাত্রায় হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। কারণ আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই রাতে দেরি করে ঘুমোতে যান এবং সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন।

বডি ক্লকের এই স্বাভাবিক নিয়মের ব্যতিক্রমেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন গবেষকেরা। তাদের মতে রাতে ঘুমানোর ‘আদর্শ সময়’ হল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে। এই নিয়ম অনুসরণ করলেই শরীর সুস্থ থাকবে।

আরো পড়ুন: নতুন ইতিহাস পাকিস্তানের, পাক লেফটেন্যান্ট প’দে যো’গ দিলেন দুই হিন্দু অফিসার

গবেষণা প্রতিবেদনটির লেখক ও যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব এস্টারের গবেষক ডেভিড প্ল্যানস বলেন, “মধ্যরাতের পর ঘুমোতে যাওয়া সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা এতে ভোরের আলো দেখার সুযোগ কমে আসে। যা আমাদের স্বাভাবিক বডি ক্লকের নিয়মের ব্যাঘাত ঘটায়।”

এছাড়া সঠিক সময়ে ঘুমোনোর পাশাপাশি হৃদ্‌যন্ত্রকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়ম মেনে ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, মদ্যপান ও লবণ খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনার ওপর জোর দিয়েছেন গবেষকরা।