সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

কাঁকড়া কামড়েছে মেয়েকে, প্র’তি’শো’ধ নিতে জী’ব’ন্ত কাঁকড়াকে খে’য়ে হাসপাতালে ভ’র্তি বাবা

পারিবারিক বন্ধন বা পিতা কন্যার বন্ধন যে কতটা সুন্দর সে নমুনা আমরা অনেক ভাবেই দেখেছি। আবার কোনো কিছুর জন্য নিজের মানুষকে হারাতে হলে সেই জিনিসটার ওপরও আঘাত করা বা এরকম প্রতিহিংসামূলক কাজের উদাহরণ আমরা আগে পেয়েছি। যেমন কিছুদিন আগে একটু খবর খুব ভাইরাল হয়েছিল সেখানে দেখা গিয়েছিল একটা বাচ্চাকে একটা সাপ কামড়ে দিয়েছিল তাই ওই মেয়েটি সাপ টাকে কামড়ে দিয়ে প্রতিশোধ নেয়।

আর ঠিক এরকমই আরো একটি ঘটনার খবর খুব ভাইরাল হয়েছে। জানা যাচ্ছে এক ব্যাক্তি তার মেয়েকে নিয়ে নাকি কাকড়া ধরতে যান। সেখানে অসাবধানতাবশত এর একটি কাঁকড়া তার মেয়েকে কামড়ে দেয়। মেয়ে সেই কামরের যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। আর মেয়ের এমন দুরবস্থা দেখে কাঁকড়াটির ওপর অত্যন্ত রেগে যান সেই বাবা।

এবং মেয়েকে কামড়ানোর প্রতিশোধ নিতে তৎক্ষনাৎ সেই কাঁকড়াকে জ্যান্ত ধরে চিবিয়ে ফেলেন ব্যক্তি। কিন্তু এই প্রতিশোধ তো নেওয়া হয় কিন্তু এতে ওই ব্যাক্তির শরীর দু তিনদিনের মুদ্ধেই অসুস্থ হয়ে যায়।এতটাই খারাপ হয় তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বছর ৩৯ এর এই ব্যাক্তির নাম লু।

আরো পড়ুন: লক্ষ্মীর ভা’ন্ডা’র নিয়ে ব’ড়ো ঘোষণা মমতার, জানুন বি’শ’দে

এই ঘটনার তিনদিন পর তার পিছে যন্ত্রণা শুরু হলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। সেখানে ডক্টর তাঁকে জিজ্ঞেস করেন যে সে এর মধ্যে কিছু উল্টো পাল্টা খেয়েছিলেন কিনা। কিন্তু লু বিষয়টা এতটাই সহজ ভাবে নিয়েছিল যে ওর মনেই পড়ে না। তখন লু এর স্ত্রী বলেন যে তার কাকড়া খাওয়ার কথা।

আর তারপর কিছু মেডিক্যাল টেস্ট করার পরেই জানা যায় একটি জ্যান্ত কাকড়া খেয়ে নেওয়ার ফলে তার শরীরে আক্রমণ করেছে একটি নয় গোটা তিন রকমের পরজীবী। যারা যারা ইতিমধ্যেই ভেতরে ভেতরে তার শরীরে নানান রকম কুপ্রভাব বিস্তার করেছে।

সেই কুপ্রভাব থেকে বাঁচাতে তাকে যদি দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করা হতো তাহলে প্রাণ সংশয় হয়ে যেতে পারতো ওই ব্যক্তির। কিন্তু ওই ব্যক্তির চিকিৎসা শুরু হতে খুব বেশি দেরি না হওয়ায় বেঁচে গিয়েছেন লু বলেই জানা যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিহিংসা কোন লেভেলে মানুষকে নিয়ে যায় তার একটা উদাহরণ পাওয়া গেলো এই গল্প থেকে। পাশাপশি একজন বাবা মেয়ের ভালোবাসার নমুনাও মিলল।