সব খবর সরাসরি পড়তে আমাদের WhatsApp  Telegram  Facebook Group যুক্ত হতে ক্লিক করুন

চীনে মা’রা’ত্ম’ক ভা’বে বাড়ছে ক’রো’না, ভারতে নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে কতটা ভ’য়?

নতুন করে চীনের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে যার কারণে দৈনিক মানুষ মারা যাচ্ছে শয়ে শয়ে। এই অবস্থা ফের বিশ্ববাসীকে চিন্তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে, তাহলে কি সেই সমস্ত দিন আবার দেখতে হবে মানুষকে? কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই করা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, যাতে ভারতবাসীকে কোনভাবেই সেই লকডাউনের দিন পুনরায় দেখতে না হয়।

বর্তমান চীনের পরিস্থিতি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে ভারতে এখন ভয় কতটা?ওমিক্রন BF.7 কি আবার ভারতে জটিলতা সৃষ্টি করবে? তিনটি বিষয় নিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে প্রথমত ভারতে যে সমস্ত ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয়েছে তার মধ্যে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন অন্যতম। কিন্তু চীনে ব্যবহার করা হয়েছে করোনাভ্যাক ও সিনোফার্ম।

ব্রাজিলে এসব টিকা নিয়ে সমীক্ষা করে দেখা গেছে সিনো ফার্মের কার্যক্ষমতা ভালো কিন্তু করোনাভ্যাকের প্রভাব বয়স্কদের উপর খুবই কম। তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছে চীনের মতো জনবহুল একটি দেশে যেখানে বয়স্কদের সংখ্যা বেশি সেখানে এই পরিস্থিতি দেখা দিলেও, ভারতে তার আশঙ্কা তুলনামূলক অনেকটাই কম।

আরো খবর: বাংলার পর্যটকদের জন্য ভা’লো খবর, হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রু’টে ছু’ট’বে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস

ভারতে যখন ওমিক্রণের দাপট ছিল তুঙ্গে তখন প্রতি পরিবারেই দেখা গিয়েছে কেউ না কেউ করোনা সংক্রমিত। কিন্তু চীনে হয়েছে উল্টো, দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার কারণে কেউই তেমন করোনায় সংক্রমিত হয়নি । আর যার কারণে তাদের দেহে কোভিড থেকে বাঁচার জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে ওঠেনি।

এখন যখন লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে চীনে, তখন একবারে বহু সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। কিন্তু ভারতের হিসেবে সেরকম কোনো আশঙ্কা নেই বললেই চলে। বর্তমানে চিনে ওমিক্রন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে , কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতে এই ওমিক্রম জুলাই মাস থেকেই রয়েছে।

বর্তমানে ভারতে জিনোম সিকুয়েন্সের ওপরে জোড় দেওয়া হয়েছে। আর সেখানে দেখা গেছে ওমিক্রন BF.7 বহুদিন থেকেই ভারতে রয়েছে। আর সেই কারণেই মনে করা হচ্ছে ভারতে নতুন করে মারাত্মক আকার নেওয়ার কোনো আশা নেই।