এই টেকনোলজির যুগে মানুষের এক মুহুর্ত চলে না নেট ছাড়া। আর ঠিক এই কারণেই ভারতের বিভিন্ন স্টেশনে (৫৮৮টি স্টেশন) মানুষ যাতে বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করতে পারে তার জন্য WiFi চালু করা হয়। কিন্তু মানুষ সেই সুবিধা ঠিক কি কাজে লাগাচ্ছে তা জানতে পারলে আপনিও অবাক হবেন, এটা নিশ্চিত।
নিখরচায় WiFi পরিষেবা ব্যবহার করে দেদারে ‘প’র্ন’ ডাউনলোড চলছে। ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে ‘যৌ’ন’ নি’র্যা’ত’নে’র বাড়বাড়ন্তের পিছনে ‘প’র্নে’র আসক্তির মতো একটা ফ্যাক্টর যে ব্যাপকভাবে কার্যকারী তা বোঝাই যাচ্ছে!
এই দিক থেকে তালিকার শীর্ষে স্থান পেয়েছে সেকেন্দ্রাবাদ। সূত্রের খবর, সেখান থেকেই ৩৫ শতাংশ ‘প’র্ন’ ভিডিও ডাউনলোড হয়েছে। রেলটেল নামক এক সংস্থা রেলের WiFi পরিষেবা দেয়। তাদের কাছে জমা পড়া তথ্য থেকেই জানা যাচ্ছে তালিকায় সেকেন্দ্রাবাদের পরেই রয়েছে বিজয়ওয়াড়া ও তিরুপতি স্টেশনের নাম।
আরো পড়ুন: HIV-র থেকে কি মুক্তি স’ম্ভ’ব? ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দা’বি গবেষকদের
এ প্রসঙ্গে রেলটেলের এক শীর্ষ আধিকারিকের বক্তব্য, “আমাদের গেটওয়ে ডেটাতে দেখা গিয়েছে, WiFi সার্চে একেবারে প্রথম দিকেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ‘প’র্ন’ কনটেন্ট। যদিও এখন অধিকাংশেরও বেশি ‘প’র্ন’ ওয়েবসাইট বন্ধ।
কিন্তু ভিপিএন ও কিছু ওয়েবসাইট, যেগুলো এখনও চালু আছে সেগুলির সাহায্যেই এখনও ডাউনলোড করা যাচ্ছে। যদিও খুব শীঘ্রই সেগুলো কালো তালিকাভুক্ত হতে চলেছে।”
রেলটেলের তথ্য থেকে এও জানা গেছে, দেশে দৈনিক ১২ লক্ষ মানুষ WiFi-এর সাহায্যে বিভিন্ন রেল স্টেশন থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার । যদিও বিনামূল্যে WiFi-এর ব্যবহার মাত্র প্রথম আধঘণ্টাই।
আরো পড়ুন: উত্তরবঙ্গ জু’ড়ে ভা’রী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, দক্ষিণবঙ্গে হ’তে পা’রে ঝোড়ো হাওয়া!
পরে ব্যবহার চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার হলে পেইড’ WiFi-এর ব্যবস্থা রয়েছে। এপ্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, একজন ইউজার ৩০ মিনিটে ৩৫০ এমবি ডেটা খরচ করতে পারে। যার ৯০ শতাংশই হল ‘প’র্ন’ কনটেন্ট।”
সরকারের তরফে বিভিন্ন ‘প’র্ন’ ওয়েবসাইটে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তাতে যে মানুষের ইন্টারেস্ট কমে গেছে তা নয়। সুযোগ পেলেই এই ধরনের কনটেন্ট ডাউনলোড করার প্রবণতা মানুষের মধ্যে যে এখনও ক্রমাগত বাড়ছে তারই প্রমাণ এই পরিসংখ্যান।